Kar Kache Koi Moner Kotha: ‘বেইমান, ন্যাকা’ শিমুল, শতদ্রুর প্রতি অবিচার দেখে ক্ষেপে উঠল দর্শকরা
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha)। প্রতি সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো নম্বরই তোলে সিরিয়ালটি। প্রথম পাঁচে উঠতে না পারলেও সেরা দশের মধ্যে থাকে ধারাবাহিকটি। কিন্তু ট্রোলের হাত থেকে কোনো মতেই রেহাই পাচ্ছে না কার কাছে কই মনের কথা। শিমুলের কাণ্ডকারখানা দেখে তাকে ‘ন্যাকা’ নায়িকার তকমা দিয়েছেন দর্শকরা।
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে একটা মেয়ের উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার, গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিয়ালে। শ্বশুরবাড়িতে পা রাখা ইস্তক একের পর এক বিপদে পড়েছে শিমুল। জোর করে ফাঁসানো হয়েছে তাকে। শিমুলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আবারো বিয়ে ঠিক হয় পরাগের। সব অপমান সয়েও ওই বাড়িতেই পড়ে ছিল শিমুল, শুধুমাত্র নিজের শাশুড়ি আর ননদের জন্য। কিন্তু পরাগের দ্বিতীয় বিয়ের দিনফের ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয় তাকে। পরাগকে বিষ দেওয়ার অভিযোগে জেলে যেতে হয় শিমুলকে।
তবে শেষমেষ অবশ্য সত্যের জয় হয়। শিমুল বেকসুর খালাস পায় আর পরাগকে বিষ দেওয়ার অভিযোগে শাস্তি পায় তার ভাই আর ভাইয়ের বউ পলাশ এবং প্রতীক্ষা। এই ঘটনা পরাগকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দেয়। নিজের ভাই আর ভাইয়ের বউ প্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করেছে জানতে পেরে ভেঙে পড়ে সে। সেই সঙ্গে শিমুলের প্রতিও তার মনোভাবের পরিবর্তন ঘটে। অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করেছে পরাগ। ইতিমধ্যেই নতুন প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, পুতুলের বিয়ে উপলক্ষে প্রাক্তন শ্বশুরবাড়িতে এসে শিমুল জানতে পারে পরাগের বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর তা শুনেই সে চিৎকার করে ছোটে তার কাছে।
এই প্রোমো দেখেই রাগ আর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। একজন লিখেছেন, ‘কার কাছে কই ন্যাকামোর কথা’। আরেকজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে লিখেছেন, ‘শতদ্রু শিমুলের জন্য এত কিছু করলো তাও শিমুল পরাগের পিছনে ছুটবে’। আরেকজন লিখেছেন, ‘শিমুল চরিত্র টা দেখানো হচ্ছে গাছের ও খাবে তলার ও কুড়োবে সেই রকম। এটা মোটেই প্রতিবাদী চরিত্র নয়’। একজন লিখেছেন, ‘যার কোন আত্মসম্মানবোধ নেই।পরাগ ই ঠিক তার জন্য।শতদ্রু কে সে ডিজার্ভ ই করেনা’। শেষমেষ সিরিয়ালে কী হয় তা বোঝা যাবে খুব শীঘ্রই।