খান-কাপুর পরিবার খুশির মেজাজ। গত ২১শে ফেব্রুয়ারিতে পতৌদি পরিবারে এসেছে ছোট্ট ফরিস্তা। দ্বিতীয়বার মা হয়েছেন বেবো। ১৫ তারিখ নাগাদ ডেলিভারির তারিখ ছিল কিন্তু সেদিন না ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা নাগাদ ছোট্ট নবাব পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন বেবো। সন্তানের জন্ম দিলেন করিনা কাপুর খান। তবে ছোট নবাবের বয়স মাস দেড়েক তাই প্রথম থেকেই এখনো সইফিনা ছেলের মুখ কাউকে দেখাননি। এক্কেবারে বিরাট-অনুষ্কার পথে হাঁটছেন সাইফিনা। অবশেষে কথা রাখলো সইফ আর করিনা। অন্যদিকে পাপারাজ্জিরা রাতদিন খান বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছে সাইফিনার দ্বিতীয় সন্তানকে এক ঝলক দেখবে বলে।
এখন ছোট নবাবকে অন্তরালে রাখলেও ছোট নবাব পুত্রকে মানুষ করছেন সইফিনা। আর এখন বড় দাদা হয়েছে তৈমুর তাই সেও এখন ছোট ভাইকে নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই সেও এখন ক্যামেরার সামনে অত বেশি আসেনা। ভাইকে নিয়ে দিনরাত কাটছে বড় দাদার। এদিকে সইফ আর করিনা ছেলের ছবি না দেখালেও কিছুদিন আগে ভুল করে দাদু রণধীর কাপুর ছোট নাতির সাথে বড় নাতির ছবি কোলাজ করে শেয়ার করলেন। যা শেয়ারের সাথে সাথে পাপারাজ্জিদের চোখে পড়ে। অবশ্য সেই ছবি মিনিটের মধ্যে ডিলিট করে দেওয়া হয়। ।
এবার ছেলের দেড় মাস বয়স হতেই ছেলেকে প্রকাশ্যে আনলেন। এবার আর ব্লার বা ব্যাকসাইড নয়। তবুও এই ছবিতে রয়েছে এক নতুনত্ব। একনজরে দেখে নেওয়া যাক।যে ছবি করিনা শেয়ার করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, এই নবজাতকের পাশে বসে রয়েছে বাবা সইফ আলি খান এবং বড় দাদা তৈমুর। আকাশি রঙের জামা পরে বাবা আর দাদার সামনে শুয়ে আছে সইফিনার দ্বিতীয় সন্তান। তবে ছেলের মুখ পুরো দেখাননি তিনি।
View this post on Instagram
এবারে মুখের জায়গায় জুড়ে দিয়েছেন ‘বেবিফেস ইমোজি’। তবে এই ছবিতে মুখ দেখা না গেলেও ছেলের মাথাভর্তি চুল আর সে তাঁর বাবা আর দাদার হাত ছুঁয়ে রয়েছে। তবে এই ছবিতে সাইফিনার দ্বিতীয় সন্তানের মুখ দেখতে না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হন। নানা নেটনাগরিক নানান কমেন্টস করে বসলেন বেবোর এই পোস্টে। একজন লিখলেন,’ মুখ দেখাতে চান না ঠিকাছে তবে কি নাম কী রেখেছেন, সেটা তো একবার বলে দিতেই পারেন।” আর একজনের বক্তব্য, “তৈমুরের বেলাতেও যদি এই সিদ্ধান্ত নিতেন তবে আরও ভাল হতো।” তবে অনেক অনুরাগী এই ছবি দেখে প্রশংসা করেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
View this post on Instagram