বাংলা টেলিভিশন ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মনামী ঘোষ হলেন মোস্ট ওয়ান্টেড, সুন্দরী, অবিবাহিতা, স্টাইলিশ, গুণী ও পাকা অভিনেত্রী। বয়স তার ৩৭ এর মণিকোঠায়, অথচ তাকে দেখলে বোঝার উপায় নেই তার বয়স। এখনও সে তন্বী, সুন্দরী, একেবারে টলিউডের বেবি ডল। সম্প্রতি, মনামী এসেছিলেন Josh Talks Bangla র মঞ্চে।
Josh Talks Bangla হল একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এখানে অনেকেই আসেন এবং দর্শকদের অনুপ্রেরণা দেন তাদের জীবনের পথ চলার কাহিনী শেয়ার করে। জীবনের ওঠা পড়ার নানান কাহিনী বহু অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিক্ষক, ইউটিউবার, শিল্পী এসে শেয়ার করেন। সেরকমই এর মধ্যে আসেন সুন্দরী মনামী ঘোষ।
বসিরহাটের মেয়ে মনামী। অত্যন্ত সাধারণ ঘরের মেয়ে সে, বাবা মায়ের ইচ্ছায় শিখতে হয় গান, নাচ, কবিতা, যোগ ব্যায়াম। পড়াশুনো যেমন ভালোবেসে করতেন, তেমনই অন্যান্য কলা বিদ্যা অর্জন করেছেন ছোট থেকে। মনামীর কথায়, তার মা বাবার ইচ্ছায় তিনি বেশি করে এই ধরনের কাজে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলেন। তার কথায়, বসিরহাটে ছিল রবীন্দ্র ভবন হল। সেই হলে প্রতিবার নানান শো করতেন মনামী।
পরিবারের একজন কাছের মানুষের প্রেরণায় তিনি প্রথম সুযোগ পান অভিনয়। দেবিদাস ভট্টাচার্যের নাম নেন মনামী। ইনি মনানীর বাবার সঙ্গে নাটক দলে কাজ করতেন। তার সুবাদে মনামী সুযোগ পান নতুন কাজে। কলকাতায় আসেন অডিশন দেন বাবা মায়ের সঙ্গে। এরপর সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহনের দীপাবলি’ এর জন্য স্ক্রিপ্ট রিডিং করেন। এরপর কল আসে এবং কাজ শুরু হয়ে যায়। বর্তমানে মনামী বহু হট অভিনেত্রীকে টেক্কা দিতে পারেন তার রূপে গুণে। সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন, পাশাপাশি কাজের ফাঁকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চলে যান। তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল দেখলে বোঝা যায় তিনি কতটা ঘুরতে পছন্দ করেন। সবমিলিয়ে মনামী একজন স্বাধীন ও সফল অভিনেত্রী যার রূপের টানে ঘায়েল বহু তরুণ তরুণী।