দিনে ১৪ ঘন্টাই শুটিং, পুজোর আগে মন খারাপ কৌশাম্বীর
বৃষ্টিকে সঙ্গে নিয়েই পুজোর দিকে এগিয়ে চলেছে সময়। সেপ্টেম্বর কাটলে অক্টোবরেই দূর্গাপুজো। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সুযোগ পেলে কেনাকাটায় বেরিয়ে পড়ছে মানুষ। পুজো আসতে যে আর বেশিদিন বাকি নেই। কিন্তু সকলে যখন কেনাকাটা করতে ব্যস্ত, তখন মন খারাপ করে বসে রয়েছেন অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তী। কাজের চাপে তিনি না পাচ্ছেন ছুটি আর না যেতে পারছেন না শপিংয়ে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে মনের ক্ষোভটাই উগরে দিলেন কৌশাম্বী।
অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবন সহজ নয়, একথা সকলেই জানেন। বিশেষ করে মেগা সিরিয়ালের নায়ক নায়িকারা তো শ্বাস ফেলারও যেন ফুরসত পান না। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকে তাদের। আর পুজোর আগে আগে তো ব্যস্ততা আরো বেশি। একটানা কাজের পর দূর্গাপুজোর কটা দিন নিজেদের জন্য পান অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তবে তার জন্য আগে থেকে বেশি বেশি শুটিং করে এপিসোড ব্যাঙ্কিং করে রাখতে হয়। সেই কাজই শুরু হবে বলে জানান কৌশাম্বী।
‘মিঠাই’ শেষ হওয়ার আগেই ‘ফুলকি’ সিরিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন কৌশাম্বী। এই মুহূর্তে ফুলকিতেই পারমিতা চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। দিনে ১৪ ঘন্টা শুটিংয়েই চলে যায়। একটা ছুটিও নেই। তাই কেনাকাটা করতে যাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না কৌশাম্বী। অভিনেত্রী বলেন, তিনি নিজে সারা বছর ধরেই টুকটাক শপিং করতে থাকেন। তাই নিজের জন্য জামাকাপড় কেনার তেমন তাড়া নেই। কিন্তু বাবা, মা, দাদা কাছের মানুষদের জন্য কেনাকাটা করতে যাওয়ারই সময় পাচ্ছেন না কৌশাম্বী।
অভিমানী অভিনেত্রীর বক্তব্য, একদিন ছুটি চাইলেও পাচ্ছেন না। তার মধ্যে আবার পুজোর ব্যাঙ্কিং শুরু হলে আর এক ফোঁটাও সময় পাবেন না। তাহলে কীভাবে কেনাকাটা চলছে? কৌশাম্বী জানান, তাঁর মা দোকানে গিয়ে ভিডিও কল করেন মেয়েকে। সেখানেই জামাকাপড় দেখে পছন্দ করছেন অভিনেত্রী। এছাড়া আর উপায়ও নেই। এমনিতে কৌশাম্বী জানান, পুজোর সময়ে তাঁর ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতে ইচ্ছা করে না। একদিন সময় রাখবেন বন্ধুবান্ধবদের জন্য। আর বাকি দিনগুলো নিজের পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন বলে জানান কৌশাম্বী। এমন সময় সুযোগ তো বিশেষ পাওয়া যায় না।