‘বাইরে কাজ করতে গেলে আজও মেয়েদের অনুমতি নিতে হয়’, সুপার সিঙ্গারের মঞ্চে অকপট কৌশিকী
সম্প্রতি শেষ হয়েছে শারদোৎসব। শেষ হয়ে গিয়েছে শ্যামাপূজাও। মা এবার আসতে চলেছেন জগদ্ধাত্রী রূপে। তিনিও নারী। সেই অমোঘ নারীশক্তির উদযাপনে এবার ব্রতী হলেন কৌশিকী চক্রবর্তী (Kaushiki Chakraborty) ও তাঁর ‘সখী’-রা। ‘সুপার সিঙ্গার 3’-এর মঞ্চে ধ্বনিত হল সখীদের ঝঙ্কার।
কৌশিকী ও তাঁর মহিলা ব্যান্ড ট্রুপ ‘সখী’ পারফর্ম করলেন ‘সুপার সিঙ্গার 3’-এর মঞ্চে। মঞ্চেই দাঁড়িয়ে কৌশিকী জানালেন, এ হল নারীত্বের উদযাপন। সমাজ যেন নারীশক্তিকে বারবার বেঁধে দিতে চায় কড়া অনুশাসনে। নারীকে একদিকে শক্তির দেবী, বিদ্যার দেবী হিসাবে পুজো করলেও কন্যাসন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে আজও দশবার ভাবেন সমাজের একশ্রেণীর মানুষ। আজও নারীকে বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে অনুমতি নিতে হয়। টাকা খরচ করার আগে পরামর্শ নিতে হয়। কৌশিকীর কথায় উঠে এসেছে এই প্রসঙ্গ। তাই তিনি ও তাঁর ‘সখী’-রা যেন প্রতিবাদ জানালেন এই মূর্খতার বিরুদ্ধে।
View this post on Instagram
কৌশিকী ও তাঁর ‘সখী’-র দল বাঁশি, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ও ক্লাসিকালের ফর্মে মাতিয়ে দিয়েছেন ‘সুপার সিঙ্গার 3’-এর মঞ্চ। এই ব্যান্ডটি মূলতঃ ক্লাসিকাল গান ও যন্ত্রানুসঙ্গীতকে নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি পারফরম্যান্স করেন। ইতিমধ্যেই ‘সখী’-র নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা রাগাশ্রয়ী ব্যান্ড ট্রুপ। 2015 সালে তৈরি হয়েছিল ‘সখী’। ওই বছরেই 20 শে জানুয়ারি থিয়েটার রোডস্থিত কলামন্দিরে ‘সখী’-র প্রথম অনুষ্ঠান হয়েছিল।
‘সখী’ মূলতঃ কৌশিকীর ভাবনা থেকেই তৈরি। এটি তৈরি করার সময় তিনি পাশে পেয়েছিলেন তাঁর পিতা পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)-কে। তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন উস্তাদ জাকির হোসেন (ustad Zakir Hossain)। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ‘সখী’ ঘোষণা করেছে তার নিজস্ব অস্তিত্ব।