Bengali SerialHoop Plus

গগন মাখালকে যোগ্য জবাব দিতে ভোটে দাঁড়াবে পূর্ণা! মোড় ঘোরানো পর্বে ‘খেলাঘর’, রইলো ভিডিও

গত বছর নভেম্বর মাসের শেষে স্টার জলসায় শুরু হয় পাড়ার এক গুন্ডার হঠাৎ করে বড়লোক বাড়ির মেয়ের সাথে বিয়ে হওয়া একটি গল্প। শ্রেণিবৈষম্যের প্রেক্ষাপটে অন্য ধাঁচের প্রেমের গল্প বলতেই এই খেলাঘর ধারাবাহিক শুরু হয়। ভাগ্যের কারণেই শান্টু ও পূর্ণার জীবনে আসে নানা ঘটনা। শান্তু স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতার পোষা গুন্ডা। আর পূর্ণা একটি বড়লোক বাড়ির মেয়ে। পূর্ণার বাড়ি থেকে একটি ভালো পাত্রের জন্য বিয়ে দিতে চায়। বিয়ে ঠিক হয়, কিন্তু বিয়ের আগেই আচমকা শান্টুর সাথে বিয়ে হয়ে যায়।

প্রথম বার একজন মানুষের সঙ্গে দেখা, এবং তাঁর সঙ্গেই পূর্ণার বিয়ে হয়। তা কোনওদিন ভাবেননি তিনি। তাও আবার একজন গ্যাংস্টার। অন্যদিকে, শান্টু কিছু একটা প্রমাণ করার জন্যই বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ের পর শান্টুর সাথেই সংসার করতে চলে আসে এক্কেবারে বস্তিতে। সংসার করার সময় পূর্ণা শপথ নেয় শান্টুকে সে ভালো করবেই। এই নিয়ে বেশ টানটান পর্ব শুরু হয়। খুব স্বল্প সময়ে এই ধারাবাহিক বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। টিআরপিতেও থাকে বেশ ভালো। সেরা দশে এই ধারাবাহিকের নাম থেকেই যায়।

প্রথমে পূর্ণার এই বিয়ে তাঁর পরিবার না মানলেও পরে অনেকেই মেনে নেয়। শান্টু বরাবর এরকম ছিলনা। পড়াশোনায় ছিল বেশ মেধাবী। কিন্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয় আজ রাজনৈতিক নেতার গুন্ডা হয়ে উঠেছে। তবে পুর্ণার ভালোবাসায় আজ শান্টু পাল্টেছে। বাজে কাজের পথ ছেড়ে দিয়েছে। ধীরে ধীরে পূর্ণা শান্টুকে ভালোবেসে ফেলে। তবে আগের বিয়েতে কারোর ছিলনা কোনো মত আর ছিলনা বিয়ের নিয়ম। তাই এবারে বাঙালি মতে পূর্ণা আর শান্টুর বিয়ে৷ হয়। বাড়ির মতে নিয়ম আচার মেনে হল এই বিয়ে।

এই ধারাবাহিকে শান্টুর চরিত্রে অভিনয় করছেন সইদ আরেফিন। এর আগে ‘ইরাবতির চুপকথা’ সিরিয়ালে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। দুই ধারাবাহিকে পুরোপুরি উলটো চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। পূর্ণার চরিত্রে নবাগতা অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার। স্বীকৃতি প্রথম ধারাবাহিকে অভিনয় করে স্টার দর্শকের মনে ভালো বৌমার জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড শোতে স্বীকৃতি পুরষ্কার ও পান। শান্টু আর পূর্ণার এই জুটিকে অনেকে ভালোবাসা দিয়েছেন।

কিন্তু শান্টুর ভালো হওয়া কেউ মানতে পারছেনা। শুরু হয় নানান চক্রান্ত। এবার রাজনৈতিক মহলের সদস্যরা নানান ভাবে চক্রান্ত করে সরিয়ে আনতে চায়। তবে পূর্ণা চায়না এসব হতে তাই এবার ভোটে সে নিজে লড়বে। নতুন প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে, সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে এই বস্তি। এবার এদের উৎখাত করার পালা। তখনই পূর্ণা স্টেজে উঠে মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আপনাদের উৎখাত করবো আমি। প্রয়োজন হলে আমি ভোটে দাঁড়াবো।” তাহলে কি পূর্ণা ভোটে দাঁড়িয়ে জিততে পারবে? কি বলছে এই খেলাঘরের চিত্রনাট্য? এর উত্তর ধারাবাহিকের পরবর্তী চিত্রনাট্য থেকে জানা যাবে।