Regional

লজ্জা ভুলে কয়েক হাজার মানুষের সামনে গানের শুটিং খেসারি লালের

ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। একসময় ভোজপুরি ফিল্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বাঁকা চোখে দেখা হত। বহু কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ধীরে ধীরে ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিজেকে উন্নত করেছে। শুধুমাত্র তারকারাই নন, গ্রুম হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির চিন্তাধারা। গ্রামীণ দর্শক তো বটেই, শহরের দর্শকদের জন্যও ভিন্ন স্বাদের ভোজপুরি ফিল্ম তৈরি হয়েছে। ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে গিয়েছে প‍্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম তৈরির দিকেও। বর্তমানে শুটিং চলছে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম প‍্যান ইন্ডিয়ান ফিল্ম ‘হর হর গঙ্গে’-র। এবার ফেমিনা ও ফিল্মফেয়ারের যৌথ উদ্যোগে লখনউ-এ অনুষ্ঠিত হল ‘ফিল্মফেয়ার-ফেমিনা ভোজপুরি আইকনস’। তারকাখচিত এই অনুষ্ঠানে সম্মানিত হলেন একের পর এক ভোজপুরি তারকা।

‘ফিল্মফেয়ার-ফেমিনা ভোজপুরি আইকনস’-এর রেড কার্পেট ছিল নজরকাড়া যা নিঃসন্দেহে বলিউডকে ফেলে দিতে পারে প্রতিযোগিতার মুখে। রেড কার্পেটে স্টাইল স্টেটমেন্টে চমকে দিলেন রবি কিষণ (Ravi Kishan), মধু শর্মা (Madhu Sharma), রিঙ্কু ঘোষ (Rinku Ghosh), চিন্টু পান্ডে (Chintu Panday)-রা। কিন্তু পাপারাৎজিদের নজর ছিল ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান কেশরী ওরফে সিংহ খেসারিলাল যাদব (Kheshari lal Yadav)-এর দিকে। এদিন খেসারিলাল ছিলেন ক্লিন শেভড। পরনে ছিল কালো রঙের সাটিনের শার্ট ও ট্রাউজার। তার সাথে টিমড আপ ছিল কালো রঙের সিকুইনড ব্লেজার।

পাপারাৎজিদের একাংশ খেসারিলালকে প্রশ্ন করেন, ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তরফে জনগণের কাছে তিনি কি বার্তা দিতে চান! এখানেও বলিউড ও টলিউডকে চার গোল দিলেন খেসারিলাল। কলকাতায় বাঙালি সেলিব্রিটিদের দেখে মনে হয়, তাঁরা কখনও বাংলা বলেননি। জন্মলগ্ন থেকেই ইংরাজিতে কথা বলেছেন। মুম্বইয়েও ইংরাজি ছাড়া একাধিক সেলিব্রিটির কথা বলতে কষ্ট হয়। তাঁদের দেখে মনে হয়, হলিউডে ইংরাজি ভাষার ফিল্মে অভিনয় করেন। কিন্তু খেসারিলাল ভোজপুরি ভাষার ফিল্মে অভিনয় করেন। ফলে তিনি ভোজপুরি মিশ্রিত হিন্দিতে জনতার উদ্দেশ্যে জানালেন, ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহু কাহিনী রয়েছে যা সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে চান তাঁরা।

খেসারিলালের মতে, অগ্রগতির সাথে সাথেই ভারতের বাইরেও বিশেষ স্থান করে নিচ্ছে ভোজপুরি ফিল্ম। খেসারিলাল অভিনীত ভোজপুরি ফিল্ম ‘সংঘর্ষ’ সাম্প্রতিক কালে প্রবাসী দর্শকদের কাছে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানালেন অযোধ্যায় তিন দিন ধরে শুট করা একটি গানের সিকোয়েন্সের কথা যেখানে শুটিং দেখতে এসেছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন খেসারিলাল। তাঁর মতে, ভোজপুরি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গ্রাফিক্সের দিকেও উন্নতি করছে। বর্তমানে আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও ভোজপুরি ফিল্ম তারকারা সমগ্র পৃথিবীর বিনোদন জগতে নিজেদের স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন, তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল খেসারিলালের কথায়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Filmfare (@filmfare)

Related Articles