Hoop News

Hilsa Fish Market Price: দীঘায় দেদার বিকোচ্ছে নকল ইলিশ, কি করে চিনবেন জেনে নিন

বর্ষা ব্যবহার বাঙালি সমুদ্র দেখবেন, এমনটা তো হতেই পারে না। আর সমুদ্র দেখতে গিয়ে সেখানকার ইলিশ মাছ চেখে দেখবে না তা তো একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু দীঘার বেড়াতে গিয়ে পর্যটকরা পড়ছেন বিপদে। সেখানে দেদার বিকোচ্ছে নকল ইলিশ মাছ। কথায় বলতে গেলে ইলিশ মাছ নিয়ে জালিয়াতি হচ্ছে দীঘায়। সহজে দেখলে পর্যটকরা কিছুতেই বুঝতে পারবেন না কোনটা আসল আর কোনটা নকল আর সেই সুযোগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল ইলিশ মাছ বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছেন।

পূর্ব ভারতের সবথেকে বড় সামুদ্রিক মাছের যেখানে নিলাম হয়, সেই জায়গাটি হল দীঘা আর এই দীঘাতেই কোটি কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়। সেইখানে যারা ব্যবসা করছেন তারা নকল ইলিশ ব্যবসা করে জনসাধারণকে ঠকাচ্ছেন। কিন্তু সকলে যে বলছেন নকুল ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তাহলে সেই নকল ইলিশ আসলে কোন ধরনের মাছ এই ধরনের মাছ আরব সাগরের খয়রা মাছ।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে খয়রা মাছ কিন্তু খুব একটা অচেনা নয় তবে বঙ্গোপসাগরের খয়রা মাছের সঙ্গে আরব সাগরের খয়রা আছে, কিন্তু অনেকটাই পার্থক্য আছে ইলিশ মাছের মতন দেখতে। যা দেখে পর্যটকরা কিন্তু রীতিমতন মাথা গুলিয়ে ফেলছেন, পর্যটকরা বুঝতেই পারছেন না কোনটা ইলিশ মাছ আর কোনটা আরব সাগরের খয়রামাছ। ১৫০০ টাকা কখনো আবার ১৮০০ টাকা কিলো দরে ইলিশ মাছ বলে বিকোচ্ছে, তবে যারা পর্যটকরা আছেন তারা কিন্তু সাবধান থাকবেন তারা খেয়াল করে দেখে শুনে তবে কিনবেন না হলে কিন্তু ঠকতে হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত দীঘায় কিন্তু ইলিশ দেখা যাচ্ছিল না বর্তমানে সেই মন ধাকা দিয়ে কিছুটা শস্যের মুখ দেখেছেন মৎসজীবীরা।

অতিরিক্ত গরম আর একেবারে কম বৃষ্টি হওয়ার জন্যই ইলিশ মাছের জন্য এমন প্রতিকূল আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র ইলিশ মাছ নয়, সমস্ত মাছেই বেশ মন্দা দেখা দিয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাই অনেক দিন ধরেই আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন, তারা ভাবছেন কবে একটু ভালো করে বৃষ্টি হবে আর জালে ইলিশ মাছ উঠবে।

জুলাই মাসে ১৪ তারিখের পর থেকে দীঘায় মোট ১০০ টন ইলিশ জালে উঠেছে। কিন্তু তারপরে আর ইলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। যেদিন সবচেয়ে বেশি ইলিশ মাছ জালে উঠেছে সেদিন ইলিশ মাছের পরিমাণ ছিল দশ টন। শুধুমাত্র ইলিশ নয়, পমফ্রেট সহ অন্যান্য মাছও হয়তো কম বেশি দেখা মিলেছে। কিন্তু তাও আশানুরূপ হয়নি। খারাপ আবহাওয়ার জন্যই এমন প্রতিকূল অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূবালী বাতাস ইলিশকে টেনে নিয়ে আসে কিন্তু এবারের যেহেতু বৃষ্টি আর পূবালী বাতাসের পরিমাণ এতটাই কম তাই ইলিশ কম এসেছে।

তবে সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দীঘায়, তাই একটু আশার মুখ দেখছেন মৎস্যজীবীরা। তবে এবার একই সাধ্যের মধ্যে বাঙালি ইলিশ মাছ খেতে পারবে? দীঘার মৎস্য কেন্দ্র দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, এখনো ইলিশ পাওয়ার সময় কিন্তু বেরিয়ে যায়নি। মৎস্যজীবীরা আশা করছেন এবার স্বাদে গন্ধে ভরা ইলিশ মাছ বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে।

Related Articles