Cyclone Update: সপ্তাহের শেষেই ঘূর্ণিঝড় দাপট রাজ্যে! সাইক্লোনের হাত ধরেই কি বর্ষার আগমন?
জৈষ্ঠ্যের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা বাংলায়। গ্রীষ্মের স্লগ ওভারে ছক্কা হাঁকাচ্ছে সূর্য্যিমামা। শহর কলকাতায় ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল শহরবাসী। এদিকে জেলায় জেলায় বাড়ছে সূর্যের গনগনে উত্তাপ। পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়।
তবে সপ্তাহের শেষেই স্বস্তির খবর দিয়েছে হাওয়া অফিস। ভারতীয় মৌসম বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী এখন জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সাগরে। বর্তমানে তৈরি এই ঘূর্ণাবর্ত আগামীতে নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং তারপর ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে এগিয়ে আসবে ভূমির দিকে। বঙ্গপোসাগর ও আরব সাগরে তৈরি এই জোড়া ঘূর্ণিঝড় এখন রাজ্যবাসীর কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রতিবেদনে দেখে নিন ঘূর্ণিঝড় দুটির আপডেট।
■ ঘূর্ণিঝড় তেজ: দক্ষিণ আরব সাগরে একটি ঘুর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের, যা ঘূর্ণিঝড় তেজ নাম নিয়ে এগিয়ে আসবে ভূমির দিকে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আরব সাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে ৭ জুনের মধ্যে এবং সেটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে ১০ই জুনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে জানা গেছে। তবে এটির ল্যান্ডফল কোথায় হবে, সেই বিষয়টি নিয়ে এখনো বিশদে কিছু জানা যায়নি।
■ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়: গতকালকেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ মায়ানমার উপকূলে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এটিই বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়ে ধেয়ে আসছে ভূমির দিকে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার ও সোমবার নাগাদ এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ৭ই জুনের মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়াবে। তবে সেটি কোন অভিমুখে যাবে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা।
■ রাজ্যে বর্ষা: মৌসম ভবন সাফ জানিয়েছে যে এবছর দেরিতে বর্ষা আসছে। সাধারণত পয়লা মে কেরলে বর্ষা ঢুকলেও এ বার কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে ৪ জুন। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যে বর্ষার আগমনে প্রভাব পড়তে পারে বলেই অনুমান আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের।