Arpita Mukherjee: অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকার উৎস কি! তিন শব্দে ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর দিলেন পার্থ চ্যাটার্জী
বিগত কয়েকমাস ধরেই গারদের আড়ালে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার হয়েছে তার রাজনৈতিক কেরিয়ার। ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়িতে টাকা উদ্ধার নিয়েই গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল তাকে। এই নিয়ে আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। মুহুর্মুহু চলেছে তদন্ত। কখনো সিবিআই, কখনো ইডি, বারবার নানা জেরায় উঠে এসেছে নানা তথ্য। সংশোধনাগার থেকে আদালত- নানা চক্কর কাটতে হয়েছে তাকে এই কয়েকমাসে। আদালতে একাধিকবার হেনস্থাও হতে হয়েছে একসময়ের দুঁদে রাজনীতিবিদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আর এবার জেরায় গোয়েন্দাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
গতবছর জুলাই মাসে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এর মধ্যে গত ২২ শে জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে তাকে জেরার মাধ্যমে অর্পিতার (Arpita Mukherjee) সূত্র পায় তারা। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই টাকা উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। গ্রেপ্তার করা হয় অর্পিতাকেও। পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।
কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস কি? এই প্রশ্নে বারবার সরব হয়েছে সংবাদমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। জেরার মুখে বারবার পড়তে হয়েছে পার্থ, অর্পিতাকে। উঠে এসেছে অনেক প্রভাবশালীর নাম। গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও অধরা যেই টাকার উৎস। এখনো এটাও জানা যায়নি যে সেই টাকা অর্পিতার ফ্ল্যাটে পৌছাল কিভাবে। সোমবার এই টাকার উৎস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন পার্থবাবু। আর সেখানেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি সংক্ষিপ্তভাবে তিনি উত্তর দেন, “খুঁজে বার করুন”।
প্রসঙ্গত, এই টাকা উদ্ধার এবং তারপর গ্রেপ্তারির পর গোয়েন্দাদের জেরায় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় স্বীকার করেন যে এই টাকা তার নয়। তিনি এও স্বীকার করেন যে এই টাকা পার্থর। অর্পিতা জেরার মুখে জানান যে পার্থর কর্মীরা এসে মাঝেমধ্যে সেসব টাকা রেখে যেত তার ফ্ল্যাটে। যদিও সেই রুমে তার প্রবেশাধিকার ছিলনা বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎসের সন্ধান সেই অধরাই থেকে গেছে এতমাস পরেও।