Khorkuto: পুচু সোনাকে নিয়ে গুনগুন-মিষ্টির টানাটানি, হাত ফসকে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি
ওরে বাবা! গুনগুনের শশুর বাড়িতে বিরাট তাণ্ডব। আর এই তাণ্ডবের কারণ হল একরত্তি পুচু সোনা। গুনগুন তার মিষ্টি বৌদির সদ্যজাত মেয়েকে নিজের কাছেই রাখে। বাচ্চার জন্য ঘরে এসি লাগায়। বাচ্চার সমস্ত দেখাশোনা করে। ব্রেস্ট ফিডিং এর জন্য মিষ্টি বৌদির ঘরেও নিয়ে যায় এমনকি মিষ্টি বৌদিকে নিজের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু, এরপরেও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প নিয়ে মিমের শেষ নেই। কেউ বলছে গুনগুন মেন্টাল, কেউ বলছে মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি। ব্যাপারটা কী এবং এরকম কেন হল? সত্যি কি গুনগুন চরিত্রটি মেন্টাল?
এই উত্তরের দ্বায়িত্ব অবশ্যই দর্শকদের। তবে মিষ্টি ও গুনগুন এর বাকযুদ্ধে হাত থেকে ছিটকে পড়ে যায় নীচে ওই একরত্তি পুচু সোনা। এবং সে মাথাতে আঘাত পায়, বমি করে। এরপরেই গুনগুন তড়িঘড়ি বাচ্চাকে নিয়ে হাসপাতাল যায়। কিন্তু, মিষ্টি কিছুতেই রাগ দুঃখ সামলাতে পারে না। গুনগুনের গোটা পরিবার তার বিরুদ্ধে যায়। সৌজন্য পর্যন্ত এই বেয়াদপি সহ্য করতে পারে না। অবশ্য এই গল্পের খাতিরে গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমাকে পরিচালক যেমন অভিনয় করতে বলেন তেমনটাই করি।”
তৃণা তার ধারাবাহিকের জার্নি শুরু করে ‘খোকাবাবু’ দিয়ে। প্রথম ধারাবাহিকে বাজিমাৎ করেন তৃণা। এরপর তাঁকে দেখা যায় ‘কলের বউ’তে। এবার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’ তে অভিনয় করছেন তৃণা। একেবারে প্রথম প্রথম ধারাবাহিকের টি আর পি ঊর্ধ্বমুখী হলেও, মানুষ এখন বিরক্ত গুনগুনের মেন্টাল চরিত্র নিয়ে। ফলে টিআরপি মান নিম্নমুখী।
View this post on Instagram
যদিও পুচু সোনা নিয়ে যেই গল্প তৈরি হয়েছে, তা দর্শকরা চুটিয়ে উপভোগ করছে। অবশ্য এই ব্যাপারে তৃণা সংবাদমাধ্যমে এও বলেছিলেন, “দর্শকরা যদি পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে ‘কৃশ’, ‘সুপারম্যান’ দেখতে পারেন, তাহলে কারও দুটো বিয়ে দেখতে সমস্যা কোথায়।” অবশ্য, গুনগুন গল্পে নতুন কিছু টুইস্ট আসতে চলেছে তা চলমান গল্প থেকেই বেশ ভালো বোঝা যাচ্ছে।