ফুচকায় রইল না আর বাধা, তেঁতুলের এত পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতেন?
তেঁতুলের (Tamarind) টক খেতে কে না ভালোবাসে? তেঁতুলের আচার, তেঁতুল দিয়ে তৈরি টক মিষ্টি লজেন্স এখনও অনেকেরই প্রিয়। আর ফুচকার সঙ্গে তেঁতুল গোলা ছাড়া তো ভাবাই যায় না। তবে শুধু কিন্তু জিভের স্বাদ আনা নয়, তেঁতুলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও। এর মধ্যে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন এবং নানান খনিজ পদার্থ যা শরীরে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং শরীর সুস্থ রাখে। কী কী গুণ রয়েছে তেঁতুলের? কোন কোন রোগ থেকে মুক্তির পথ বাতলে দেয় তেঁতুল? জানতে হলে এই প্রতিবেদনটা পুরোটা পড়ুন।
তেঁতুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ডায়াবেটিস কমানোর পাশাপাশি রক্তে কার্বোহাইড্রেট তৈরি হতে দেয় না তেঁতুল। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। এছাড়াও রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, থায়ামিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, নায়াসিন এর মতো উপাদান যা মানব শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে এই সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের ঘাটতি হতে দেয় না তেঁতুল। এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেলন এর মতো প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সাহায্য করে।
তেঁতুলে উপস্থিত ভিটামিন এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গরম জলে কিছুটা তেঁতুল গুলে তার মধ্যে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে সর্দিকাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, হার্টের সমস্যার রোগীদের তেঁতুল খাওয়া খুব উপকারী। কারণ তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টকে ভালো রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে।
তেঁতুলে টারটারিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় আপাত দৃষ্টিতে শরীরে অম্লভাব বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাণ মতো তেঁতুল ডায়েটে রাখলে তাতে কোনো ক্ষতি তো নেই, বরং শরীরের উপকারই হবে। কারণ তেঁতুল হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। তবে ডায়েটে তেঁতুল যোগ করার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই ভালো।