BSNL-এ সিম পোর্ট করানো এখন আরো সহজ, মানতে হবে এই নিয়মগুলি

জিও, এয়ারটেল, ভি আই বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের রিচার্জ এর দাম। যার ফলে মোবাইল চালু রাখার জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সমস্ত রিচার্জের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে একমাত্র বিএসএনএল (BSNL)। তাই অনেকেই বিএসএনএল এ পোর্ট করিয়ে নিচ্ছেন এবং বিএসএনএল সিমও নিতে চাইছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, যে নিয়ম চালু করা হয়েছে, সেই নিয়ম একমাত্র যদি মেনে চলেন তাহলেই আপনি ঠিকঠাক করে পোর্টিং করাতে পারবেন।

নতুন MNP নিয়ম কি জেনে নিন

টেলিকম রেগুলেটরে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে নতুন যে টেলিকম অপারেটর পরিবর্তিত হওয়ার জন্য সাত দিন লক ইন পিরিয়ডে থাকতে হবে অর্থাৎ আবেদন করার পর সাতদিন পরেই তা পোর্টিং হওয়ার সম্ভাব আর আপনার যদি কোনো ব্যালেন্স থাকে তাহলে 15-30 দিনেই তা অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে মোবাইল নম্বর।

কী ভাবে পোর্ট করাবেন জানেন?

প্রথমে 1900 এই নম্বরে একটি SMS পাঠান

SMS এ লিখতে হবে ‘PORT’ তারপর Space দিতে হবে।

তারপর লিখুন 10 ডিজিটের মোবাইল নম্বর।

জম্মু কাশ্মীর থেকে যদি আবেদন করেন 1900 এই নম্বরে ফোন করতে হবে

SMS পাঠানোর পর একটি কোড আসবে,
যেটা কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে দেখাতে হবে

এবার আপনাকে BSNL সার্ভিস সেন্টারে নতুন সিম নিয়ে নিতে হবে।

এখানে KYC এর জন্য (আধার কার্ড), ছবি,  বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে।

তারপর সিমের দাম মিটিয়ে দিতে হবে।

সমস্ত প্রক্রিয়া হয়ে গেলে চালু হয়ে যাবে বিএসএনএল কানেকশন।

কী সুবিধা, অসুবিধা হবে জেনে নিন?

BSNL এর সিম নেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। সুবিধা হল যে এটা অনেক বেশি কম খরচ করতে হয়, অন্যান্য যে সমস্ত কানেকশন আছে যেমন এয়ারটেল, ভোডাফোন, জিও, আইডিয়া এইসবের তুলনায় সস্তা BSNL। ২৮ দিন, ৩০ দিন, ৮৪ দিন অথবা ৩৬৫ দিন, যেকোনও ভ্যালিডিটির রিচার্জ করাতে পারবেন কম দামে। মিলবে আনলিমিটেড ভয়েস কলিং এবং দৈনিক ১ জিবি, ১.৫ জিবি অথবা ২জিবি ডেটা।

অসুবিধা– সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অনেক অসুবিধা, কারণ এই নেটওয়ার্ক ভীষণ দুর্বল। ৫জির অভাব রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক নিয়ে গ্রাহকরা প্রায়শই অভিযোগ করেন, তাছাড়া জিও এয়ারটেল ৫জি শুরু করে দিলেও বিএসএনএল টা এখনো পুরোটা এলাকাতে ৫জি শুরু করতে পারেনি, তবে পরিষেবা উন্নত করার জন্য তারা যাবতীয় পরিকল্পনা করছেন।