OYO রুমেই ঘাপটি মেরে আছে বিপদ, প্রেমিকাকে নিয়ে যাওয়ার আগে সতর্ক হন
বিভিন্ন মানের হোটেল এবং গেস্ট হাউসের পাশাপাশি বর্তমানে OYO হোটেলের (OYO Hotel) কনসেপ্টও বহুল পরিমাণে প্রচার পাচ্ছে। সাধারণ পর্যটকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমিক যুগলদের মধ্যেও OYO-র চাহিদা দেখার মতো। বিশেষ করে দূর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো সহ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র মতো দিনগুলিতে এই সমস্ত হোটেল গুলির চাহিদা এবং ব্যবসা হয় আকাশ ছোঁয়া। তবে সেই সঙ্গে এই হোটেল গুলিতে মাঝে মধ্যেই নানান অসামাজিক কাজের খবর মেলে। নানা অপরাধের খবর জায়গা করে নেয় সংবাদ শিরোনামে। তাই সরকারের তরফে কিছু নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। এবার থেকে OYO হোটেলে যাওয়ার আগে সবিস্তারে জেনে নিন নিয়ম কানুন।
বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন শহরে কার্যত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে OYO হোটেল। কিন্তু এদের মধ্যে বেশিরভাগ হোটেলেই নেই কোনো সঠিক নিয়ম কানুন। অধিকাংশ হোটেলই বেআইনি ভাবে খুলে বসেছে ব্যবসা। ফলতঃ এখানে কোনো অসামাজিক কাজকর্ম হলেও দুষ্কৃতীদের ধরতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তাই অবৈধ গেস্ট হাউস এবং হোটেল গুলিকে আইনের আওতায় আনতে বেশ কিছু নয়া নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে সরকারের তরফে। প্রতিটি হোটেলকেই বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে কড়া আইনের মধ্যেও রয়েছে ফাঁকফোকর। সেই সমস্ত ফাঁকের সুযোগ নিয়েই অবৈধ হোটেলের ব্যবসা ফেঁদে বসেছে হোটেল মালিকরা। এই সমস্ত হোটেলের না থাকে রেজিস্ট্রেশন, না এখানে আগত অতিথিদের কাছ থেকে চাওয়া হয় যথাযথ পরিচয়পত্র। এমনকি অনেক জায়গাতেই থাকে না ঠিকঠাক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনা এবং সিসিটিভিও। কাপলদের কাছে এইসব OYO হোটেল বেশ জনপ্রিয় হলেও এখানেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রয়েছে বিপদ।
কোনো অপরাধমূলক কাজকর্ম হলে সঠিক রেজিস্ট্রেশনের অভাবে না তো এই হোটেল গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায় আর না দুষ্কৃতীদের শণাক্ত করা যায়। তাই এবার সমস্ত গেস্ট হাউস এবং হোমস্টে গুলির রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করতে চলেছে সরকার। এই পোর্টালে গিয়ে গেস্ট হাউস এবং হোমস্টে গুলিকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। যদি না করা হয় কিংবা রেজিস্ট্রেশনের তথ্যে কোনো রকম গরমিল পাওয়া যায় তাহলে সেই হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তাই এবার থেকে অতিথিদের বিনা পরিচয়পত্রে থাকতে দেওয়া আর চলবে না। কোনো হোটেল বা গেস্ট হাউসে থাকতে হলে সঙ্গে নিতে হবে আসল পরিচয়পত্র।