ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দালানে দেড়শো বছরের মাতৃ আবাহনের শুভ সূচনা হয়েছে। ঢাকে পড়েছে কাঠি। মল্লিক বাড়ির সদস্যরা প্রায় সকলেই এসে উপস্থিত হয়েছেন তাঁদের পারিবারিক দুর্গাপুজোয়। করোনা অতিমারীর সময় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা নেই। প্রতি বছরের মতো এবারেও দুর্গাপুজোর আমেজে ক্যামেরাবন্দি হলেন রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mullick), দীপা মল্লিক (Deepa Mullik), কোয়েল ওরফে রক্মিণী মল্লিক (Rukmini Mullick), মল্লিক বাড়ির জামাই নিসপাল সিং রাণে (Nispal Singh Rane)। তবে ছিল না বাড়ির সবচেয়ে খুদে সদস্য কবীর (Kabir)। কোয়েল ও নিসপাল কবীরকে অযথা স্পটলাইটে আনতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। তাঁরা চান কবীরের শৈশব হোক আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতোই।
মহাষষ্ঠীর দালানে এদিন রীতিমত পারিবারিক আড্ডার মেজাজে ছিলেন সকলে। উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরেও অভিনয়কে বেছে নিয়েছিলেন রঞ্জিত। কিন্তু তারকা হওয়া সত্ত্বেও পরিবার তাঁর কাছে চিরকাল প্রথম প্রায়োরিটি। অহংকারের লেশমাত্র নেই তাঁর মধ্যে। একই রকম কোয়েলও। তিনি ও নিসপাল যথেষ্ট ডাউন টু আর্থ। দীপা তো মাতৃস্বরূপা। বর্তমানে তিনি স্নেহময়ী দিদিমা। মল্লিক বাড়ির বধূর মর্যাদা রক্ষা করেছেন তিনি। মল্লিক বাড়ির দালানে এদিন সবুজ রঙের গর্জাস শাড়ি ও লাল ব্লাউজে অত্যন্ত সুন্দরী লাগছিল দীপাকে। স্বামী রঞ্জিতের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটিয়েছেন তিনি। রঞ্জিতের পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি ও ধুতি।
View this post on Instagram
নিসপাল পরেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি। তাতে ছিল লাল সুতোর কাজ। তার সাথে পরেছিলেন চোস্ত। নিসপাল যথেষ্ট ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। কিন্তু এদিন গল্পে, খুনসুটিতে মেতে উঠেছিলেন তিনি। কোয়েলের সাথে ফটোশুটও করলেন তিনি। কোয়েল তো মল্লিকবাড়ির ‘উমা’। আশ্বিনের শারদ প্রাতে তাঁর উপস্থিতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল ঠাকুরদালান। সেখানে মা দুর্গা ও তাঁর সন্তান-সন্ততিদের মূর্তিতে পড়েছে রঙের প্রলেপ। ষষ্ঠীর কল্প ও চক্ষুদানের পালা এবার। ছবিগুলি শেয়ার করে কোয়েল তাঁর অনুরাগীদের জানিয়েছেন শারদ শুভেচ্ছা।
চলতি বছর কোয়েল শারদীয়া ফটোশুটও করেছেন মল্লিক বাড়ির দালানে। ঐতিহ্যবাহী মল্লিকবাড়ির দালানে অফ হোয়াইট বেনারসি পরে নজর কেড়েছিলেন কোয়েল। তবে সারা বছর তো চলতেই থাকে কাজের কথা। পুজোর চারটে দিন মল্লিকবাড়ির সদস্যরা নাহয় আনন্দে মেতে উঠলেন। কোয়েল হলুদ শাড়ি পরেছেন ষষ্ঠীর সকালে। তার সাথে লাল রঙের ব্লাউজ ও সোনালি রঙের গয়না। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী-তেও সুন্দর করে সাজবেন তিনি। সাজাবেন খুদে কবীরকেও। ফলে আপাতত কটা দিন কাজের কথা নয়, শুধুই মাতৃবন্দনা।
View this post on Instagram