Nandini Didi: ‘বিকল্প বলে কিছু হয় না, মধ্যবিত্ত মানুষ মরবে’, হকার উচ্ছেদ নিয়ে বিষ্ফোরক নন্দিনী দিদি

কলকাতা মানেই স্ট্রিট ফুডের মেলা। রাস্তার পাশেই অস্থায়ী দোকান দিয়ে নানান খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। শুধু কি খাবার, আরো হরেক রকম জিনিস পাওয়া যায় শহরের ফুটপাতে। বছরের পর বছর ধরে কলকাতার এই চেনা লুকটাই দেখে আসছে মানুষ। তবে এবার ফুটপাত থেকে দোকান তোলা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করেছে প্রশাসন। গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে হকার উচ্ছেদ। ফুটপাত দখল করে আর দোকান দেওয়া যাবে না। সরকারি নির্দেশ নিয়ে এবার মুখ খুললেন নন্দিনী দিদি (Nandini Didi)।

সরকারি নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব নন্দিনী দিদি

ডালহৌসিতে ভাতের দোকানের মমতা গঙ্গোপাধ্যায় ‘নন্দিনী দিদি’ নামে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বিগত দু বছর ধরে ইউটিউব এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে রমরমা প্রচুর বেড়েছে তাঁর। নন্দিনী দিদির দুটি দোকান দুটিই রাস্তার ধারে, ফুটপাতে। সরকারের হকার উচ্ছেদ কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি বিষ্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে। নন্দিনী দিদি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য তো ক্যান্টিন রয়েছে। কিন্তু যে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন সরকারি অফিস গুলিতে যাতায়াত করে, তারা যে ফুটপাতে বসে ২০ টাকার ভাত, ৫০ টাকার মাছ ভাত খায় তারা কোথায় যাবে? তিনি নাহয় ১৫০ টাকায় মাছ ভাত বিক্রি করেন, অনেকেই ৫০ টাকায় বিক্রি করেন, যা খেয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ রোজের জীবনযাত্রা চালাচ্ছে তারা কোথায় খুঁজবে?

মধ্যবিত্তের ক্ষতি হবে সবথেকে বেশি

এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘বিকল্প বলে কিছু হয় না। যারা এসিতে বসে রয়েছে তাদেরই টাকা বাড়বে, যাদের রয়েছে তাদের আরো বাড়বে, আর যাদের নেই তারা যেমন মরেছে তেমনি মরবে’। এই সিদ্ধান্তের জেরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন নন্দিনী দিদি। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, এই দোকানটিই তাঁদের সব। সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত

সাম্প্রতিক এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হকারদের এক মাস সময় দেওয়া হবে। তার মধ্যে ফুটপাত খালি করতে হবে। কারোর কাজ বন্ধ হোক সেটা তিনি চান না, তিনি চান ফুটপাত দখল মুক্ত করতে। তবে দুটি বিষয় একসঙ্গে কীভাবে সামলানো হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি সরকারের তরফে।