পুরো দমে চলছে উৎসবের মরশুম। চার দিন ধরে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তারপর একে একে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো মিটিয়ে এবার পালা ভাই ফোঁটার (Bhaiphota)। রাত পোহালেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। দিদি বা বোনদের কাছ থেকে ফোঁটা নেয় দাদা, ভাইরা। তাদের দীর্ঘায়ুর জন্য কামনা করে দিদি, বোনেরা। অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) প্রতি বছরই ভাইফোঁটার উৎসবে যোগ দেন। তবে এ বছর ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আগের দিনটা বেশ অন্য রকম ভাবে কাটল তাঁর।
কারোর কারোর দ্বিতীয়ায় ফোঁটা হয়, কারোর আবার প্রতিপদে ফোঁটা দেওয়ার নিয়ম। টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের বনেদি বাড়ি। ভাই বোন সকলে মিলে ভাইফোঁটার আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে। এখন যোগ দেয় ছোট্ট কবীরও। ভাই বোনদের সঙ্গে ভাইফোঁটার আনন্দ উপভোগ করার আগে আরো একবার উৎসবে সামিল হলেন কোয়েল। এক দারুণ উদ্যোগে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এক এনজিওর তরফে আয়োজিত ভাইফোঁটার উৎসবে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে কোয়েলকে।
ঈশ্বরের সংকল্প নামে একটি এনজিওর তরফে বিশেষ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা মিলল অভিনেত্রীর। দই, চন্দন দিয়ে নিজে হাতে তিনি ফোঁটা দিলেন বেশ কয়েকজনকে। তারপর হাসিমুখে তাদের হাতে তুলে দিলেন মিষ্টি। কোয়েলের এহেন উদ্যোগ মন জিতে নিয়েছে নেটিজেনদের। কমেন্টে তাঁকে প্রকৃত টলি কুইন বলে আখ্যা দিয়েছেন অনুরাগীরা।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরের বিখ্যাত মল্লিক বাড়ির মেয়ে কোয়েল। তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজো বিশেষ জনপ্রিয়। পুজোর ওই কটা দিন সর্বসাধারণের প্রবেশের অনুমতি থাকে মল্লিক বাড়ির প্রাঙ্গনে। সবার সঙ্গে মিশে যান বর্ষীয়ান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক এবং মেয়ে কোয়েল মল্লিক। তাঁদের একবার চোখের সামনে দেখার জন্যও অনেকে মল্লিক বাড়ির পুজোয় যান। ভাইফোঁটাতেও ভাই বোনেরা মিলে হইহুল্লোড় করেন কোয়েল। প্রসঙ্গত, এ বছর পুজোতে মুক্তি পেয়েছে কোয়েল অভিনীত ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। মিতিন মাসি সিরিজের প্রথম ছবি বেরিয়েছিল ২০১৯ সালে। প্রথম বার পর্দায় মহিলা গোয়েন্দা হিসেবে কোয়েলকে বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। বক্স অফিসে সফলও হয়েছিল ছবিটি। চার বছর পর আবারো মিতিনের জুতোয় পা গলালেন কোয়েল।
View this post on Instagram