Hoop PlusTollywood

রোদ্দুরে দেওয়া আচার চুরি করে খেলেন অভিনেত্রী কোয়েল, আবারো ফিরে গেলেন ছোটবেলায়!

করোনা অতিমারীর কারণে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। টলিপাড়ায় কয়েকটি প্রজেক্টের শুটিং শুরু হলেও অনেকেই এখনও সংক্রমণের ভয়ে শুটিং শুরু করছেন না। ফলে কোয়েল(koel mullick)-এর হাতে অফুরন্ত সময়। তিনি সেই সময়ের সদ্ব্যবহার করছেন আচার বানিয়ে ও খেয়ে।

সম্প্রতি কোয়েল ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কোয়েল তাঁর আলিপুরের ফ্ল্যাটের বারান্দায় আচার শুকাতে দিয়েছেন। আচার শুকাতে দিতে দিতেই নিজেও একটু আচার তুলে খেতে শুরু করেছেন কোয়েল। আচার খেতে খেতেই কোয়েল ভেসে গেলেন নস্টালজিয়ায়, শেয়ার করলেন নিজের মেয়েবেলার কথা। কোয়েল বললেন, তাঁর শৈশবে তাঁর দিদিমা, মা অথবা ঠাকুমা অনেক রকমের মশলা ও সর্ষের তেল দিয়ে মাখিয়ে আম বা তেঁতুলের আচার রোদে শুকাতে দিতেন। কিন্তু আচার ঠিকমতো তৈরি হওয়ার আগেই কোয়েল ও তাঁর ছোড়দি অর্ধেক আচার খেয়ে ফেলতেন। কোয়েল জানালেন, যত ডায়েট করুন না কেন, আচারের প্রতি ভালোবাসা তিনি এখনও ছাড়তে পারেননি।

ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে কোয়েল লিখেছেন, মিঠে রোদ্দুরে কাঁচা-মিঠে আচার। নিজের নস্টালজিক কাহিনীর নাম কোয়েল দিয়েছেন, ‘আচার চুরি’। ব্যস, কোয়েলকে এর বেশি আর কিছুই বলতে হয়নি। কোয়েলের ভিডিওর নিচে মহিলা নেটিজেনরা শেয়ার করেছেন লুকিয়ে লুকিয়ে আচার খাওয়ার স্মৃতি। এমনকি অনেকেই বলেছেন, এখনও মায়েরা আচার শুকাতে দিলেই মায়েদের আড়ালে তাঁরা কিছুটা আচার খেয়েই নেন।

অনেকে হয়তো বলবেন, কোয়েলের আচার চুরি করে খাওয়ার কাহিনী নিছক গল্প। অনেকের হয়তো মনে হবে, কোয়েলের মা দীপা মল্লিক (Dipa mullick) সুপারস্টার রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit mullick)-এর স্ত্রী ও সেলিব্রিটি কন্যা কোয়েলের মা হয়েও আচার শুকাতে দিতেন! প্রকৃতপক্ষে, সেলিব্রিটি থেকে আমজনতা , প্রত্যেক নারীর হেঁশেলের উপর একচেটিয়া আধিপত্য। এই আধিপত্য চলে আসছে প্রাচীন কাল থেকেই। নারী ও হেঁশেল সমার্থক হলেও রান্না নারীর ভালোবাসার বিষয়। হয়তো সবাই সব রান্না পারেন না। কিন্তু প্রায় প্রত্যেকেই কিছু না কিছু রান্না করার চেষ্টা করেন। রান্না একটা আর্ট। নারীরা সেই আর্টের আর্টিস্ট। একজন নামকরা পুরুষ শেফ-ও প্রথমে তাঁর মায়ের শেখানো রেসিপি দিয়েই রান্না শুরু করেন। কোয়েল ভবানীপুরের বনেদী মল্লিক বাড়ির মেয়ে। তৎকালীন সময় বনেদী বাড়ির মেয়ে-বৌদের বিশেষ কিছু রেসিপি রাঁধতে জানতে হতো। তার পাশাপাশি আচার শুকানো, বড়ি দেওয়াও জানতে হতো। তাছাড়া যৌথ পরিবার অথবা নিউক্লিয়ার পরিবারেও এখনও অবধি আচার তৈরি ও বড়ি দেওয়ার সময়টা নারীর একান্ত নিজের। আচার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা নারীর অত্যন্ত পছন্দের। দীপা মল্লিক বা বনেদী বাড়ি ও সাধারণ পরিবারের মেয়েরা কেউই এই এক্সপেরিমেন্টের সুযোগ ছাড়তে চান না। মেয়েরা কিন্তু এখনও অবধি পথচলতি আচারওয়ালাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, বঁইচির আচার বা চালতার আচার আছে কিনা। কোয়েল তাঁর ভিডিওর মাধ্যমে সেই ‘আচারী’ কাহিনীগুলোকেই আরও একটু উস্কে দিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Koel Mallick (@yourkoel)

Related Articles