আরজিকর কাণ্ডের মাঝেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি কুণাল ঘোষের
রাজ্য সরকারের চালু থাকা একগুচ্ছ প্রকল্পের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lokkhir Bhandar)। রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে এই প্রকল্পের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিভিন্ন বয়সের বহু মহিলা উপকৃত হয়েছেন এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে। রাজ্য সরকারের তরফে বহু প্রকল্প চালু থাকলেও অন্যান্য সমস্ত প্রকল্পগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
বর্তমানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতার মতো একগুচ্ছ প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়তা পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরকার গঠন করেই মহিলাদের আর্থিক ভাবে বলীয়ান করতে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি, যা পরবর্তীকালে মাস্টারস্ট্রোক হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের।
এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তবে এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা। তবে এই প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্যে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিগত কয়েক দিন ধরে আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সেই আঁচ এসে লেগেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর গায়েও। অনেকেই নানান কথা বলছেন এই প্রকল্প নিয়ে। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা যারা নিতে চাইছেন না তাদের জন্য টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। এর জন্য প্রকল্প থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আলাদা করে ফর্ম তৈরি করা হোক। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ডামি ফর্ম, যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর টাকা ফেরতের কথা বলা হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে পালটা অনেকেই মন্তব্য করেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ আরো বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প তৃণমূলের নয়, রাজ্য সরকারের। আর সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকেই এই প্রকল্পগুলির সুবিধা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।