Sukanya Mondal: এসব মেনে নেওয়া যায় না, অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে নিয়ে সরব কুণাল ঘোষ
অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের পক্ষে এবং বিপক্ষে কোনো কিছুতেই নেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তবে, এদিন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের চাকরি পাওয়া, ফেল করা বা না করা এবং কোর্ট পর্যন্ত আসা যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন কুণাল।
ঘটনা হল, অভিযোগ এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, পিএ সহ আরো বাকি চার জনের বিরুদ্ধে। টেট পরীক্ষায় ফেল করেও চাকরি সরকারি স্কুলে। এমনকি স্কুলের রেজিষ্টার খাতা ঘরে আসতো সই করার জন্য, স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখতেন না অনুব্রত কন্যা। বেআইনি ভাবে স্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছে অভিযোগের উপর ভিত্তি করে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হন সুকন্যা সহ বাকি পাঁচ জন।
এদিন, কোর্টের নির্দেশ মেনে যাবতীয় নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে হাজির হন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। যদিও, হাসপাতালে যাওয়ার মুখে অনুব্রত বেজায় চটে বলেছিলেন, “আমার মেয়ে ভাল আছে। আমার মেয়ের পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে। চিন্তার কারণ নেই’’। সত্যি তাহলে চিন্তার কারণ নেই । সমস্ত কাগজ ঠিকঠাক জমা করেছেন সুকন্যা মন্ডল। এদিন, শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুকন্যা ও বাকিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হলফনামাটি খারিজ করে জানান যে সুকন্যাদের হাজিরা দিতে বলার যে নির্দেশ বুধবার দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এই ঘটনার সূত্র ধরেই মুখ খোলেন কুণাল ঘোষ। তার দাবি, ‘এসব মেনে নেওয়া যায় না।’ এছাড়াও, এদিন তিনি বলেন যে তার বিচারকের প্রতি পূর্ণ সম্মান রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় একটি অতিরিক্ত হলফনামার উপর ভিত্তি করে বিচারপতি এত গুরুত্ব দিয়ে ছ’জনকে আনাতে বললেন, পুলিশ সুপারকে নিশ্চিত করতেও বললেন। তার পর সব জায়গায় দেখা গেল এক তরুণীর ছবি। তাঁকে তিরবিদ্ধ করে প্রচার চলল। দেখা গেল সেই মেয়েটি, তার ঠিক-ভুল কোর্টের ব্যাপার, কিছু কাগজপত্র নিয়ে কোর্টে এসেছেন। কিন্তু যে প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে আক্রমণ করে ইঙ্গিতপূর্ণ প্রচার হল, তিনি সেটার ব্যাখ্যা দেওয়ার কোনও সুযোগই পেলেন না।