Mahuya-Kunal: লগ-ইন আইডি কাণ্ডে মহুয়ার পাশে কুণাল, সুর বদলে যা বললেন তৃণমূল মুখপাত্র
একাধিক দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে যেন জর্জরিত রাজ্যের শাসক দল। সম্প্রতি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারি যেন এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি ইন্ধন জুগিয়েছে। আর এর মাঝেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সংসদ লগ-ইন আইডি বিতর্কে নতুনভাবে অস্বস্তি বাড়ল শাসক দলে। সংসদের এথিক্স কমিটি এই বিষয়ে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বারবার তলব করলেও তার হাজিরার তারিখ নিয়ে তৈরি হয়েছে টালমাটাল পরিস্থিতি। আর এর মাঝেই এই বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তিনি যে বললেন, তার রীতিমতো চমকে দিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলকে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একটি হলফনামায় ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানি জানিয়েছিলেন যে সাংসদ মহুয়া মৈত্র তাঁকে লোকসভার লগ ইন আইডি দিয়েছিলেন। তার বিনিময়ে একাধিক উপহার নেওয়ার অভিযোগও ওঠে সাংসদের বিরুদ্ধে। আর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে এথিক্স কমিটি। এখন দুবাই থেকে লগ ইন হওয়ার অভিযোগ কতটা সত্যি, তা যাচাই করতে চায় এথিক্স কমিটি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এথিক্স কমিটি মহুয়ার সব বিদেশ সফরের তথ্য জানতে চায়, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এবার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহুয়াকে ২ নভেম্বর তলব করে এথিক্স কমিটি। যদিও মহুয়া সাফ জানিয়ে দেন যে ৫ নভেম্বরের আগে তিনি হাজির দিতে পারবেন না। আর এতেই তৈরি হয় বিতর্ক।
এবার এই বিতর্কে সুর চড়িয়ে মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কুণাল বলেন, “মহুয়া ইস্যুতে আগেই ডেরেক ও’ব্রায়েন দলের হয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। দল সেই অবস্থান থেকে সরেনি। তবে এথিক্স কমিটির এত তাড়া কীসের? পুজো সবে শেষ হয়েছে। সাংসদ হিসেবে নিজের কেন্দ্রে অনেক কর্মসূচি থাকতে পারে মহুয়ার। ফের তাঁকে চিঠি দিয়ে তাহলে তলব করা হল কেন? এত তাড়া থাকলে ঘুষকাণ্ডের পর শুভেন্দুকে কেন তলব করেনি এথিক্স কমিটি? সিবিআই এফআইআর করেছে শুভেন্দুর নামে। তাহলে ৬ বছর ধরে কি এথিক্স কমিটি ঘুমোচ্ছিল?”। যদিও পুজোর আগে এই ইস্যুতে উল্টোসুরে গাইতে শোনা গিয়েছিল কুণালকে।
এদিকে এই বিষয়ে কিছুদিন আগেই মহুয়া সাফ জানান, “হিরানন্দানির কাছে আমার সাংসদ লগইন আইডি আছে। তবে এনআইসি লগইনের এমন কোনও নিময় নেই যে অন্য কাউকে তা দেওয়া যাবে না। সংসদের কাছে সেই সব প্রশ্ন আসে। কোনও সাংসদই নিজে সব প্রশ্ন করে না। তাঁর বৃহত্তর দলের কাছে এই আইডি থাকে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমি বিদেশিকে দিয়েছিল লগইন আইডি। হিরানন্দানি আমার বন্ধু ছিলেন। এবং তিনি ভারতীয়। তাঁর পাসপোর্ট ভারতীয়। আমি নিজে সুইৎজারল্যান্ডে থাকাকালীন লগইন করেছি। আমার দিদির সন্তান কেমব্রিজ থেকে লগইন করেছে। সেখানে আমার হয়ে সে প্রশ্ন টাইপ করে দিয়েছে। এনআইসি-র পোর্টাল যদি এতই সুরক্ষিত ছিল, তাহলে অন্য আইপি অ্যাডরেস থেকে লগইন করার ক্ষেত্রে তা ব্লক করে দেওয়া উচিত।”