একবিংশ শতকে এসেও সমাজে বধূ নির্যাতনের ঘটনা ক্রমবর্ধমান। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত অথবা দেশ-কাল নির্বিশেষে সমাজে মহিলাদের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি বদলায়নি। প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো নারী অত্যাচারিত হতেন। একই খেসারত দিতে হয়েছিল রশিকা জৈন (Rashika Jain)-কেও।
2021 সালের 16 ই ফেব্রুয়ারি, কলকাতার অত্যন্ত অভিজাত বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় রশিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ। অনেকে মনে করছিলেন আত্মহত্যা করেছেন রশিকা। কিন্তু তাঁর বাপের বাড়ির তরফে শ্বশুরবাড়ির প্রতি অভিযোগ দায়ের করা হয়। রশিকার পরিবারের দাবি ছিল, তাঁদের কন্যাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছিলেন তাঁর স্বামী কুশল অগ্রবাল (Kushal Agarwal)। জৈন পরিবার অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ার ফলে বাধ্য হয়েই পুলিশ নতুন করে রশিকার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছিল। রশিকা মৃত্যুরহস্যের ভার ছিল আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)-এর উপর।
View this post on Instagram
কোনো পরিস্থিতিতেই তদন্ত বন্ধ হতে দেননি দময়ন্তী। ফলে বুধবার, 13 ই জুলাই রাতে কুশলকে গ্রেফতার করে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।
2020 সালে আলিপুরের রাজা সন্তোষ রায় রোডের ব্যবসায়ী জৈন পরিবারের কন্যা রশিকার বিয়ে হয়েছিল ডি এল খান রোড এলাকার আরও একটি ব্যবসায়ী পরিবার ‘কুশল ভারত গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর চেয়ার পার্সন কুশল অগ্রবালের সাথে। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী রশিকা পরবর্তীকালে গৃহবধূর জীবন কাটাচ্ছিলেন। কুশল বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে রশিকার উপর নির্যাতন চালাতেন। অবশেষে গ্রেফতার করা হল কুশলকে।
View this post on Instagram
