“কিভাবে পরিচয় করাবো আমি তাঁর সঙ্গে যিনি শুধু দেশ বা জাতির নয় সারা বিশ্বের কণ্ঠস্বর”- লতাজির চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনও। ভারত রত্না চলে গিয়েছেন পাঁচ দিন আগে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল ভারত রত্নার অস্থি বিসর্জনের দিন। ইতিমধ্যেই গোদাবরী নদীর স্রোতে বিলীন হয়ে গিয়েছে সুরের দেবীর অস্থি।
রবিবার মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে লতাজির ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর মুখাগ্নি করেন। এরপর শেষকৃত্য সুসম্পন্ন করে তিনটি কলসে ভস্ম সংগ্রহ করে লতাজির বাসভবন ‘প্রভু কুঞ্জ’-এ পৌঁছান ভাগ্নে আদিনাথ। বৃহস্পতিবার নাসিকের পবিত্র গোদাবরী নদীর রামকুন্ডের তীরে আদিনাথের হাত দিয়েই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের অস্থি বিসর্জন ক্রিয়া সম্পন্ন হল।
View this post on Instagram
কিন্নরকণ্ঠীকে বিদায় জানাতে, নাসিক জেলা প্রশাসন গোদাবরী নদীর তীরে একটি সুন্দর আয়োজন করেছিল। হিন্দু মতে পুরোহিতদের উপস্থিতিতেই লতাজির সারা পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলের কিছু ব্যক্তিত্ব মিলে একটি ছোট প্রার্থনা অনুষ্ঠান করেন। উপস্থিত ছিলেন আশা ভোঁসলে সহ সারা পরিবার। এমনটাই ধরা পড়েছে পাপরাজ্জি ক্যামেরায়।
View this post on Instagram
কথিত আছে, যে ভগবান রাম ১৪ বছরের নির্বাসনে গোদাবরীর এই তীরেই প্রতিদিন স্নান করতেন। সেখান থেকেই এই বিশেষ তীরের নাম হয়ে যায় রামকুন্ড। তাই শুধু লতাজি নন, আগে আরও অনেক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যেমন জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, ওয়াই বি চভানদের মতো বেশ কয়েকজনের অস্থি এই পবিত্র স্থানে নিমজ্জিত করা হয়েছে।