Kajol: পরিচালকের জোরাজুরিতেই পোশাক খুলে ‘মিনি-স্কার্ট’ পরতে বাধ্য হয়েছিলেন কাজল
নব্বইয়ের দশকে বি-টাউনের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী কাজল (Kajol)। অভিনয়ের দক্ষতা ও কায়িক সৌন্দর্য্য, এই দুই দিয়েই তিনি জয় করেছেন ভক্তদের মন। পাশাপাশি তিনি ভক্তদের উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট ছবিও। তার অভিনীত সফল ছবির তালিকায় অন্যতম হল- ‘কুছ কুছ হোতা হে’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘দিলবালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘হাম আপকে দিল মে রেহতে হে’, ‘দিলবালে’, ‘বাজিগার’, ‘হেলিকপ্টার ইলা’, ‘ত্রিভঙ্গ’। এছাড়াও আরো অগণিত ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। শেষ তাকে ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবিতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু বি-টাউনে এই জায়গা পেতে কাজলকেও কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি। অনেক লড়াই করেই এই স্থান লাভ করেছেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরুতে অভিনেত্রীর গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল শ্যামল বর্ণ। এর জন্য কটাক্ষ শুনতে হলেও কেরিয়ারে পিছু হটেননি অভিনেত্রী। তবে এই অভিনয় কেরিয়ারে পোশাক নিয়ে একবার বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তার কেরিয়ারের মাইলফলক ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতেই তার সঙ্গে ঘটেছিল এমন ঘটনা। পরিচালকের জোরাজুরিতেই নাকি অভিনেত্রীকে পরতে হয়েছিল ছোট পোশাক।
শাহরুখ খানের সঙ্গে এই ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। আর এই ছবির একটি সুপারহিট গান হল ‘মেরে খাবো মে জো আয়ে’। এই গানে কাজলকে দেখা যায় একটি দুধসাদা শর্ট টপ ও স্কার্টে। হাঁটুর অনেক উপর অব্দি উঠেছিল এই পোশাক। বলা বাহুল্য, এর আগে এত ছোট পোশাকে অভিনেত্রীকে দেখা যায়নি রুপোলি পর্দায়। কিন্তু এই পোশাক তিনি নিজের ইচ্ছায় পরেননি। বরং ছবির পরিচালকের কথাতেই এই পোশাক পরতে বাধ্য হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আর এই কথাটি স্বীকার করেছেন বলিউডের ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা। তিনি নিজেই কাজলের এই পোশাক ডিজাইন করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে মনীশ জানান, কাজলের সেই শর্ট স্কার্ট দেখে সেটে উপস্থিত সকলেই খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছবির পরিচালক আদিত্য নাকি চেয়েছিলেন কাজল যেন একটি ছোট স্কার্টই পরে এই গানে। এই কারণেই তিনি তার পোশাক ছোট করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই স্কার্টটি এত ছোট হয়ে যায় যে আদিত্যও তা দেখে ভয় পেয়ে যায়। তবে শেষমেষ অভিনেত্রী নিজেই এই পোশাক পরেন এবং তার এই লুক মন জয় করে দর্শকদের।