রবিবার সকালে প্রথমে খবরটা কেউ বিশ্বাস করেননি। সবাই ভেবেছিলেন, এটাও গুজব। সেলিব্রিটিদের নিয়ে তো কত গুজব ছড়ায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ী (Nitin Gadkadi) -র ঘোষণার পর শোকস্তব্ধ ভারতবর্ষ। লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) নেই। এরপর থেকেই বারবার তাঁকে নিয়ে উঠে আসছে স্মৃতিচারণ, বিভিন্ন ঘটনা। বরাবর লতাকে সাদা রঙের শাড়ি পরতে দেখেছেন আপামর বিশ্ব।
View this post on Instagram
লতার প্রিয় রঙ ছিল সাদা। ফলে সাদা শাড়ি পরতে পছন্দ করতেন তিনি। বলিউডের জনপ্রিয় স্টাইলিস্ট ঈশা বনশালী (Isha Bhansali) জানিয়েছেন, ফ্যাশনের প্রতি অন্যরকম আবেগ পোষণ করতেন লতা। ফলে সকলেই তাঁকে সাদা শাড়িতে দেখেছেন। সাদা শাড়িই ছিল তাঁর সিগনেচার। দুটি বিনুনি ও কপালে সিঁদুর লাল রঙের গোল টিপ ঈশা সহ সকলের কাছে লতার স্টাইল। তাঁর সুরেলা কন্ঠের সাথে দিব্যি মানিয়ে যেত এই সাজ। তবে 2013 সালে একটি সাক্ষাৎকারে লতা জানিয়েছিলেন, তাঁর রঙিন শাড়ি না পরার কারণ।
View this post on Instagram
একবার একটি অনুষ্ঠানে লতা রঙিন শাড়ি পরেছিলেন। কিন্তু তাঁর পিছনে থাকা কোরাস শিল্পীরা তাঁকে দেখে এত হাসাহাসি করেন যে লতা শপথ নিয়েছিলেন, তিনি আর কোনোদিন রঙিন শাড়ি পরবেন না। তাঁর অধিকাংশ শাড়ি ছিল হ্যান্ডলুমের। তবে হীরে পরতে ভালোবাসতেন লতা। তবে কে.এল.সায়গল (K.L.Saigal) ও শিবাজী গণেশন (Shivaji Ganeshan)-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার পর তাঁর হীরের গয়নার প্রতি প্রেম আরও বেড়েছিল। শিবাজী ছিলেন লতার ‘রাখি ভাই’। 2005 সালে একটি সাক্ষাৎকারে লতা জানিয়েছিলেন, রোজগারের টাকা দিয়ে মাকে প্রথমে একটি সোনার গয়না কিনে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর 1947 সালে সাতশো টাকা দিয়ে নিজের নামের আদ্যক্ষর ‘এল’ ও ‘এম’ খোদাই করা একটি হীরের আংটি নিজের জন্য কিনেছিলেন লতা। তাঁর কাছে এটি ছিল অমূল্য। গানের পর হীরেই ছিল তাঁর প্রেম।
View this post on Instagram
লতার প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করে জুয়েলারি ডিজাইনার অর্চনা আগরওয়াল (Archana Agarwal) বলেছেন, লতা ন্যাশনাল আইকন। সাদামাটা জীবনযাপনে নিজের মতো করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ফ্যাশন ট্রেন্ড। এমনকি একটি ব্র্যান্ডের জুয়েলারি ডিজাইন করেছিলেন তিনি। সেই ব্র্যান্ডের গয়নাগুলিতে তাঁর নাম খোদাই করা ছিল। লতা নিজেই এই ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছিলেন।
View this post on Instagram