whatsapp channel

বিশ্বকে বিদায় জানালেন এই মহান গায়িকা, শোকের ছায়া সংগীত জগতে

প্বিরতীনোদন জগতে যেন আবারও লেগেছে গ্রহণ। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পরপর তিন শিল্পীর মৃত্যুসংবাদ আঘাত হেনেছে বলিউডের ভিতে। জনপ্রিয় অভিনেতা গুফি পেইন্টাল (Gufi Paintal), মঙ্গল ধিলোঁ (Mangal Dhillon)-র পর এবার…

Avatar

Nilanjana Pande

প্বিরতীনোদন জগতে যেন আবারও লেগেছে গ্রহণ। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পরপর তিন শিল্পীর মৃত্যুসংবাদ আঘাত হেনেছে বলিউডের ভিতে। জনপ্রিয় অভিনেতা গুফি পেইন্টাল (Gufi Paintal), মঙ্গল ধিলোঁ (Mangal Dhillon)-র পর এবার প্রয়াত গায়িকা সারদা রাজন (Sharda Rajan)। বলিউডের স্বর্ণযুগে যখন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar), আশা ভোঁসলে (Asha Bhonsle)-র কন্ঠস্বর সকলকে মাতোয়ারা করেছিল, সেই সময় নিজের মতো করে অন্য ঘরানার গায়কীর মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্থান করে নিয়েছিলেন সারদা।

সেই সময় সুরকাররা লতা ও আশা ছাড়া অপর কোনো গায়িকাকে নিতে চাইতেন না। ফলে অনেকেই মনে করতেন গায়িকারাই রাজনীতি করছেন। কিন্তু এর নেপথ্যে ছিলেন সুরকাররাই। ফলে বহু গায়িকা সেই সময় নিজেদের প্রতিভার মর্যাদা পেতেন না। তবে সারদা কিন্তু তার মধ্যেও বিখ্যাত হয়েছিলেন আইকনিক গান ‘তিতলি উড়ি’-র জন্য। তাঁর গায়কী ও কন্ঠে ছিল পাশ্চাত্যের প্রভাব। তেহরান-এ একটি স্টেজ শোয়ে গান গাওয়ার সময় রাজ কাপুর (Raj Kapoor)-এর নজর কেড়ে নিয়েছিলেন সারদা। রাজের মাধ্যমেই তাঁর আলাপ হয় সঙ্গীত পরিচালক শঙ্কর (Shankar)-জয়কিষণ (Jaykishan)-এর সাথে। প্লে ব্যাকের সুযোগ মেলে। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ডেবিউ গান এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ার পুরস্কার। 1966 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিল্ম ‘সুরজ’-এর গান ‘তিতলি উড়ি’ আজও সুপারহিট।

শুধুমাত্র হেমা মালিনী (Hema Malini), শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore), রেখা (Rekha)-দের জন্য প্লে ব্যাক করেই থেমে থাকেননি সারদা, ভারতের প্রথম মহিলা কন্ঠশিল্পী হিসাবে 1971 সালে নিজস্ব পপ অ্যালবাম ‘সিজলার্স’ প্রকাশ করেন তিনি। এই অ্যালবামের গানগুলির সুর দিয়েছিলেন সারদা নিজে। ‘অ্যান ইভনিং ইন প‍্যারিস’, ‘কাল আজ অউর কাল’-এর মতো ফিল্মে সারদার কন্ঠে গাওয়া গান ছিল সুপারহিট। হিন্দি ছাড়াও ইংরাজি, তামিল, তেলেগু, মারাঠি সহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন সারদা। আশির দশকে ‘কাচ কি দিওয়ার’ ফিল্মে শেষবার প্লে ব্যাক করেছিলেন সারদা।

এরপর সঙ্গীত জগৎ থেকে নিজেই একরকম সরে গিয়েছিলেন সারদা। কিন্তু সঙ্গীত থেকে দূরে থাকতে পারেননি তিনি। 2007 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত গজল অ্যালবাম ‘আন্দাজ-এ-বয়াঁ’-র মাধ্যমে আবারও ফিরে আসেন সারদা। কিন্তু তারপর আবারও বিরতি। তবে 2018 সাল অবধি টুইটারে অ্যাকটিভ ছিলেন সারদা। শেয়ার করতেন গোল্ডেন মোমেন্টস, বিভিন্ন কাহিনী। শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যান্সার। মারণরোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিলেন সারদা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বুধবার ছিয়াশি বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তী। সরস্বতীলোকে যাত্রা করলেন মা সরস্বতীর বরপুত্রী সারদা।

whatsapp logo