LIC Pension Plus Plan: মাত্র ৫ হাজার টাকা জমা করলেই ২৩ লক্ষ টাকা রিটার্ন মিলবে এই দুর্দান্ত স্কিমে
চাকুরিজীবী হোক বা ব্যবসায়ী সকলকেই একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নিতে হয়। তবে এই অবসর জীবনের কথা ভাবা হয় কিছু কিছু সরকারি ও কিছু বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। তাই চালু রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা। তবে এখন এই পেনশন ব্যবস্থা মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। যদিও এখনও কিছু সরকারি চাকরিতে পেনশন পাওয়া যায়। বাকিগুলোতে সরকার ‘কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিম’ চালু করেছে। কিন্তু যারা চাকরি করেন না, তাদের অবসর জীবন কিভাবে চলবে? এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই ভেবে থাকেন যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা ককরে থাকেন। তবে তাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে এমন একটি ব্যবস্থা, যা থেকে অবসর জীবনে আপনি মাসিক কিস্তিতে পেতে পারবেন।
সাধারণ মানুষের জন্যও পেনশনের সুবিধা উপলব্ধ রয়েছে বর্তমান সময়ে। তবে তার জন্য এক নাগরিককে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। কোথাও বড় অঙ্কের টাকা একবারে জমা দিয়ে মাসিক পেনশন নেওয়া যায়, আবার কোথাও কর্মজীবনে উপার্জন করা অর্থ মাসিক হারে বিনিয়োগ করে অবসরকালীন জীবনে পাওয়া যায় মাসিক পেনশন। বিভিন্ন বিনিয়োগ সংস্থা বা বীমা সংস্থায় চালু রয়েছে বিভিন্ন পেনশন স্কিম। তবে সব কোম্পানি ও সংস্থার মধ্যে সর্বাধিক ভরসযোগ্য বীমা কোম্পানি হল LIC। এই প্রতিবেদনে LIC-র একটি পেনশন স্কিম নিয়েই আলোচনা হবে।
LIC-র এই দুর্দান্ত স্কিমটি হল ‘পেনশন প্লাস প্ল্যান’। আপনার অর্থ তহবিল থেকে ৪০% টাকা আপনি এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে বেছে নিতে হবে যেকোনো একটি প্ল্যান। কারণ LIC-র পেনশন প্ল্যান রয়েছে একাধিক, যেমন- পেনশন গ্রোথ ফান্ড, পেনশন বন্জ ফান্ড, পেনশন সিকিউরড ফান্ড এবং পেনশন ব্যালান্সড ফান্ড। এর মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে আপনি বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই প্ল্যানে নূন্যতম এককালীন বিনিয়োগের অঙ্কটা হল ১ লক্ষ টাকা, মাসিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেটি ৩ হাজার টাকা এবং বার্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই নূন্যতম অঙ্কটা হল ৩০ হাজার টাকা।
এই প্ল্যানে আপনি ভালো রিটার্ন পেয়ে যাবেন। কারণ কোম্পানির তরফে দাবি করা হয়েছে যে LIC-র এই পেনশন প্লাস প্ল্যানে ৮ শতাংশ অবধি রিটার্ন পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিনিয়োগকারীর মাসিক প্রিমিয়াম ৫ হাজার টাকা হলে তহবিলের মূল্য ২০ বছরে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা হবে। তবে এই তহবিলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগও করা যায়।