৪০ বছর বয়স হলেই মিলবে পেনশন, LIC-র এই স্কিমে বিনিয়োগে মোটা টাকার রিটার্ন

ভবিষ্যতের চিন্তা রয়েছে সকলেরই। আর তাই বার্ধক্যের কথা ভেবে এখন থেকেই টাকা জমিয়ে রাখেন অনেকে। একটা সময়ের পর মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরু বন্ধ হয়ে যায় রোজগারের পথ। সে…

Nirajana Nag

ভবিষ্যতের চিন্তা রয়েছে সকলেরই। আর তাই বার্ধক্যের কথা ভেবে এখন থেকেই টাকা জমিয়ে রাখেন অনেকে। একটা সময়ের পর মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সরু বন্ধ হয়ে যায় রোজগারের পথ। সে সময়ে যাতে অন্যের উপরে নির্ভর না করতে হয় সেই কারণেই আগে থেকে টাকা জমিয়ে রাখে প্রায় সকলেই। আর এই জন্যই এমন সব স্কিম এখন বেরিয়ে গিয়েছে যেখানে বিনিয়োগ (Appropriation) করে একটা বড় অঙ্কের টাকা রিটার্ন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে এমনি একটি স্কিমের খোঁজ রইল।

এল আই সির সরল পেনশন প্ল্যান একটি দারুণ স্কিম যেখানে বিনিয়োগ করলে সারা জীবন ধরে পেনশন পাওয়া সম্ভব। এই প্ল্যানের সবথেকে বড় বিশেষত্ব হল, এখানে পেনশন পাওয়ার জন্য ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। বিনিয়োগকারীর ৪০ বছর বয়স হলেই পেনশন পাওয়া যায় LIC র এই স্কিমে। পলিসি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেনশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে এই স্কিমে।

উল্লেখ্য, LIC সরল পেনশন প্ল্যান কেনার সময় একবার মাত্রই প্রিমিয়াম দিতে হয়। প্রিমিয়াম দিয়ে দেওয়ার পরেই পেনশন পাওয়া শুরু করতে পারেন পলিসি গ্রাহক। এই একই পরিমাণ টাকা পরবর্তী কালেও পাওয়া যাবে। পলিসি গ্রাহকের অবর্তমানে তাঁর নির্ধারণ করে যাওয়া নমিনির কাছে যাবে জমিয়ে রাখা টাকার পরিমাণ। একক জীবন এবং যৌথ জীবন, দুই উপায়ে এই স্কিমের সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। একক জীবনের ক্ষেত্রে, জীবিতকালে পলিসি গ্রাহক পেনশন পাবেন। আর তার মৃত্যুর পরে নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে জমানো টাকার পরিমাণ।

অন্যদিকে যৌথ জীবনের ক্ষেত্রে স্বামী জীবিত থাকা পর্যন্ত তিনি পেনশন পেতে থাকেন। তার অবর্তমানে স্ত্রী পান পেনশনের সুবিধা। দুজনেরই মৃত্যু হলে নমিনি পায় জমানো টাকা। মাসিক, ত্রৈমাসিক, অর্ধ বার্ষিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে পেনশন পাওয়া যায়। নূন্যতম মাসিক পেনশন ১০০০ টাকা, তবে কোনো উর্দ্ধসীমা নেই। ৪০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে এই স্কিম নেওয়া যেতে পারে। ৬০ বছর বয়সে পলিসি নিয়ে ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে বার্ষিক ৫৮৯৫০ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে এই স্কিমে। আর যৌথ জীবন পরিকল্পনায় বার্ষিক ৫৮২৫০ টাকা পাওয়া যাবে।

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই