Gold Facial: ত্বক হবে দুধের মতো ফর্সা, মাত্র ১০ টাকায় বাড়িতেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল
বাড়িতে বসে কিন্তু গোল্ড ফেসিয়াল করে ফেলতে পারেন তাও মাত্র একটি জিনিস দিয়ে। সকলেই হয়তো ভাবছেন পার্লারে গিয়ে এত টাকা খরচা করে গোল্ড ফেসিয়াল করতে কারোরই ভালো লাগে না। কিন্তু তা আপনি যদি পুজোর আগে নিজেকে সুন্দরী করতে চান তাহলে বাড়িতে আনতে হবে একটা মাত্র জিনিস। মাত্রই একটা মাত্র জিনিস দিয়েই কিন্তু আপনি সহজেই বাড়িতে বসে করে ফেলতে পারেন গোল্ড ফেসিয়াল।
একটি মাত্র জিনিসটি হল কস্তুরী হলুদ। কস্তুরী হল খুব সহজেই বাড়িতে দোকানে কিনতে পাওয়া যায়, তবে দাম একটু বেশি নেয় এক টুকরো কিনে আনলেই কিন্তু কেল্লাফতে। কস্তুরী হলুদ কে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় ওয়াইল্ড টারমারিক। অনেক সময় দোকানদার বাংলা শব্দটির নাও চিনতে পারেন সেখানে ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করুন। মোটামুটি এক আদর্শ মান কস্তুরী হলুদের দাম পড়বে দেড়শ টাকা, এটি আপনার অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস চলে যাবে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে কস্তুরী হলুদকে এই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, জেনে নিন কিভাবে পাঁচ ভাবে ব্যবহার করবেন।
১) কাঁচা দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণে কস্তুরী হলুদ মিশিয়ে এটিকে ক্লিনজার হিসাবে ব্যবহার করুন। এছাড়া নারকেল তেলের মধ্যে সামান্য পরিমানে কস্তুরী হলুদ মিশিয়ে কিন্তু ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
২) কস্তুরী হলুদ দিয়ে খুব সুন্দর টোনার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। গোলাপ জলের মধ্যে বেশ কিছুটা পরিমাণ কস্তুরী হলুদদের এটি কিন্তু অনায়াসে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
৩) রাত্রিবেলা নাইট ক্রিম হিসাবে কস্তুরী হলুদ ব্যবহার করতে পারেন, কস্তুরী হলুদ সামান্য পরিমাণে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে গোটা রাত শুয়ে থাকতে পারেন। আর যদি এর সঙ্গে এলোভেরা জেল মেশাতে চান তাহলেও কিন্তু কোন অসুবিধা হবে না।
৪) ব্রণর ওপরে সহজেই কিন্তু কস্তুরী হলুদ ব্যবহার করতে পারেন, এছাড়া ব্রণের দাগের ওপরেও কস্তুরী হলুদ ভীষণ ভালোভাবে কাজ করে।
৫) যাদের ঠোঁটের উপরে কালচে দাগ আছে তারাও কিন্তু সহজে কস্তুরী হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কস্তুরী হলুদ সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল কিংবা জলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দেন দেখবেন, ঠোঁটের ওপরে হওয়া কালো দাগ সহজেই দূর হয়ে গেছে।
১০ টাকায় কি সত্যিই রূপচর্চা সম্ভব?
মোটামুটি হলুদের সঙ্গে যা যা ব্যবহার করা হয়েছে তা কিন্তু রান্নাঘরে গেলেই আপনি খুঁজে পাবেন, আর তার যদি আপনি দাম ধরেন দশ টাকার কমেই আপনি প্রতিদিন বা সপ্তাহে তিন দিন এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারবেন।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।