প্রেমের সম্পর্কে যাওয়ার আগেই মাথায় রাখুন এই কয়েকটি বিষয়, নচেৎ টিকবে না ‘রিলেশন’
মানুষ হল সামাজিক জীব। তাই সামাজিক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন একজন সঙ্গীর, একজন কাছের মানুষের, একজন নিজের মানুষের; যার কাছে মন ও শরীর দুটিই লুটিয়ে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমোতে চায় সকলেই। কিন্তু এই সবকিছুর জন্য প্রয়োজন একটা নির্ঝঞ্ঝাট মধুর সম্পর্কের। আর সম্পর্ককে ভালো রাখতে দরকার যত্নের। কিছু ক্ষুদ্র কাজ করলেই তিক্ততা থেকে মধুরতায় পৌঁছে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। তাই সকলেরই এই বিষয়গুলিকে মাথার রাখা দরকার। তাহলেই ঘর হয়ে উঠবে শান্তিনীড়।
প্রেমের সম্পর্কে আজকাল সকলেই আবদ্ধ হয়ে থাকেন জীবনের একটা পর্যায়ে। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে অরেন করার প্রবণতা আজকাল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ম্যাচিওর বয়সের আগেই প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তবে প্রেমের সম্পর্কে কিন্তু অনেক জটিলতা রয়েছে। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে তবেই প্রেমের সম্পর্ক আমাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যথায় এর উল্টোটা হতে পারে যেকোনো সময়। এখন একনজরে দেখে নিন যে প্রেমের সম্পর্কে কি করবেন আর কি করবেন না।
● প্রেমের সম্পর্কে যা যা করবেন: প্রথমেই আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রশংসা করুন। কারণ নিজের প্রশংসা শুনতে কমবেশি সকলেই পছন্দ করেন। এছাড়াও একজন মানুষ, তার সঙ্গীর থেকে সুরক্ষা আশা করে। ঘরের ভেতরে হোক বা রাস্তাঘাটে, সবসময় আপনার কাছের মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে খেয়াল রাখুন। এছাড়াও আপনার কাছের মানুষের যত্নের বিষয়টি মাথায় রাখুন। বিশেষ করে তার অসুস্থতার দিনগুলিতে বিশেষভাবে যত্ন তার মনে আপনার জন্য বৃহৎ জায়গা নির্মাণ করতে পারে। আপনার যেকোনো সিদ্ধান্তে আপনার কাছের মানুষের মতামত নিন। এতে সে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারবে। এছাড়াও তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখাটাও জরুরি।
● প্রেমের সম্পর্কে যা যা করবেন না: আমাদের করে ফেলা কিছু কাজ একটি সুন্দকর সম্পর্ককে শেষ করে দিতে পারে। তাই প্রথমত, প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন একে অপরের প্রতি সন্দেহ করা এক্কেবারে উচিত নয়। এছাড়াও কোনো বিষয় নিয়ে আপনার কাছের মানুষকে অকারণে তাড়া দেওয়াটাও সম্পর্কের ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, কাছের মানুষকে কোনোভাবেই কোনো পরিস্থিতিতে অবহেলা করবেন না। এছাড়াও, প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন কাছের মানুষকে কোনোভাবেই কারো সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য, অনুমান ও সমীক্ষার উপর লিখিত। বাস্তব জীবন সকলের ক্ষেত্রে আলাদা হতেও পারে।