Lifestyle: বাড়িতে এই কৌশল ব্যবহার করেই সাশ্রয় করুন গ্যাসের, মাসের পর মাস চলবে সিলিন্ডার
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি যেন আগুন লাগিয়েছে মধ্যবিত্তদের হেঁসেলে। গত জুলাই থেকেই বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। ঘরোয়া গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম প্রায় ১১০০ ছুঁইছুঁই। এমন অবস্থায় গ্যাস সাশ্রয়ের উপায় খুঁজছেন অনেকেই। বার্নারের উপর তারজালি থেকে নানান ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ, অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করেও পাননি ফল। কিন্তু গ্যাস বাঁচাতে এসবের প্রয়োজনই নেই, সবটাই রয়েছে আপনার হাতে। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। আপনি নিজে বেশ কিছু কৌশল ব্যবহার করলেই হবে কেল্লাফতে। এতে একদিকে যেমন বাঁচবে গ্যাস, অন্যদিকে খাবার থালাতেও করতে হবেনা কোনো আপোষ। কি সেই গোপন কৌশল?
(১) সিলিন্ডার ও ওভেন পর্যবেক্ষণ: গ্যাস সাশ্রয় করতে প্রথমেই আপনাকে নিয়মিত দেখে নিতে হবে আপনার বার্নার, পাইপ ও সিলিন্ডারের মুখটিকে। রান্না বসানোর আগেই ভালোভাবে এই জিনিসগুলি পরীক্ষা করে নিন, আর দেখুন কোথাও গ্যাস কোনোভাবে লিক করছে কিনা। এতে আপনার গ্যাস সাশ্রয় থেকে সুরক্ষা, দুটি দিকেই বজায় থাকবে। পাশাপাশি, বার্নারে হলুদ শিখা দেখলেই বুঝবেন সেখানে নোংরা জমেছে, সেটি খুলে পরিস্কার করা দরকার।
(২) মাঝারি আঁচের ব্যবহার: ফুল-ফ্লেম অথবা একদম লো-ফ্লেমে রান্না করলে গ্যাস বেশি খরচ হয়। তাই রান্না করার সময় সবসময় মিডিয়াম-ফ্লেম বা মাঝারি আঁচের ব্যবহার করুন। এতে অনেকটা গ্যাস সাশ্রয় করবেন।
(৩) প্রেসার কুকারের ব্যবহার: মাংস বা ডাল বা কোনো জিনিস শুধুমাত্র সেদ্ধ করতে ব্যবহার করুন প্রেসার কুকার। কড়াইয়ে সেদ্ধ করলে দ্বিগুন গ্যাসের খরচ হয়।
(৪) ফ্লাস্ক ব্যবহার: অনেক বাড়িতেই সারাদিনে বহুবার চা বা কফি তৈরির ফরমান আসে। এক্ষেত্রে বারবার চা বা কফি তৈরিতে গ্যাসের খরচ বহুগুণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে একেবারে সারাদিনের জন্য বানিয়ে সেটিকে ‘থার্মোফ্লাস্কে’ রেখে দিন। এভাবে আপনি অনেকটা গ্যাস সাশ্রয় করতে পারবেন।
(৫) ওভেনে গ্রিল না করা: কাবাব বা বেগুন পোড়া কিংবা রোষ্ট তৈরিতে গ্যাস ব্যবহার না করাই শ্রেয়। কারণ এতে প্রচুর গ্যাস খরচ হয়। তাই গ্যাস বাঁচিয়ে এইসব পদ তৈরিতে মাইক্রোওভেন বা গ্রিলার ব্যবহার করতে পারেন।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সম্পূর্ন তথ্যভিত্তিক। গ্যাস সিলিন্ডারের যেকোনো সমস্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিন।