Madhabi Mukherjee: উত্তম কুমারকে ফুল ছুঁড়েছিলেন মাধবী, মুহূর্তের রসিকতায় জড়িয়ে পড়ে স্ত্রী সুপ্রিয়ার নাম!
মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)-কে নিয়ে বাঙালি চিরকেলে আবেগপ্রবণ। তাঁকে ঘিরে ইন্ডাস্ট্রির আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন কাহিনী। একসময় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chatterjee)-র সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে উত্তাল হয়েছিল তৎকালীন মিডিয়া। এমনকি সেই গুঞ্জনের আঁচ এসে পড়েছিল উত্তমের সংসারেও। তবে উত্তম চেয়েছিলেন সাবিত্রীর পরিবারের সদস্যদের সাথে বন্ধুর মতো মিশে যেতে। কিন্তু আড্ডা দিতে গিয়েই ঘটেছিল বিপত্তি। ফলে মহানায়ককে লুকাতে হয়েছিল সাবিত্রীর বাড়ির বাথরুমে।
এই প্রসঙ্গে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) সঞ্চালিত শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে কথা বলেছিলেন সাবিত্রী। তাঁর সাথে ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় (Madhabi Mukherjee)-ও। সাবিত্রী বলেন, তাঁর বাবা রীতিমত কড়া ছিলেন। ফলে অভিনয় করলেও রাত দশটার মধ্যেই বাড়িতে ঢুকতে হত তাঁকে। এমনকি তাঁর বাড়িতে রাত দশটার পর কোনো বাইরের লোকের থাকা নিষেধ ছিল। উত্তম যথেষ্ট ভয় পেতেন সাবিত্রীর বাবাকে। কিন্তু একদিন উত্তম সাবিত্রীর বাড়িতে আসেন। তাঁর সাথে গল্প করতে বসেছিলেন সাবিত্রীর দিদি, জামাইবাবু, মা ও তিনি নিজে। সাবিত্রীর বাবা অন্য ঘরে খিল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু কখন আড্ডা দিতে দিতে রাত দশটা বেজে গেছে তা কারও খেয়াল ছিল না। এর মধ্যেই সাবিত্রীর বাবার ঘুম ভাঙে। উত্তম তাঁর খিল খোলার আওয়াজ পেয়ে সাবিত্রীর বাড়ির বাথরুমের চৌবাচ্চায় গিয়ে ডুবে বসেছিলেন।
উত্তমের সাথে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেছেন মাধবীও। তিনি জানালেন, ‘ছদ্মবেশী’-র শুটিংয়ে সকলে এলাহাবাদ গিয়েছিলেন। ইউনিটের সাথে ছিলেন সুপ্রিয়া (Supriya)-ও। জহর রায় (Jahar Roy) পান চাইতে মাধবীর ঘরে এসে আবিষ্কার করেন, একটি দরজা রয়েছে যাতে পর্দা দেওয়া। কিন্তু তাতে রয়েছে একটি বড় ফুটো যা দিয়ে উত্তম-সুপ্রিয়ার ঘর ভালো দেখা যায়। সেখান থেকে জহরবাবু উত্তমকে ‘উতু’ বলে ডাকলে মাধবীরা নিষেধ করেন।
এরপর তাঁরা সকলে ছাদে চলে যান। সেখান থেকে উত্তম-সুপ্রিয়ার ঘরে নয়নতারা ফুল ফেলে মাধবী মজা করে বলেছিলেন, সুপ্রিয়ার পতিসেবায় তুষ্ট হয়ে দেবতারা পুষ্পবৃষ্টি করছেন।