ডিপ নেক পোশাকে আবেদন ভরা লাস্য, পুরুষ ভক্তদের রাতের ঘুম ওড়ালেন ছোট পর্দার ‘তিতলি’
যারা বাংলা সিরিয়াল পছন্দ করেন, বাংলা সিরিয়ালের দর্শক, তারা ‘তিতলি’ সিরিয়ালটিকে ভুলতে পারেননি নিশ্চয়ই। অন্ধ নায়িকা তিতলির বিমান চালানোর গল্প দর্শকদের আগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে ট্রোলিংয়েরও জন্ম দিয়েছিল। প্রচণ্ড ট্রোল, টিআরপির অভাবের জোড়া ধাক্কায় শেষ হয়েছিল তিতলি। আর তারপরেই লক্ষণীয় বদল আসে অভিনেত্রী মধুপ্রিয়া চৌধুরীর (Madhupriya Chowdhury) মধ্যে।
রাতারাতি বাংলার মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ‘তিতলি’ নামে। সিরিয়ালটি দর্শক মহলে ছাপ ফেলতে না পারলেও বিভিন্ন কারণে পড়েছিল ট্রোলের মুখে। তবে ডেবিউ ধারাবাহিকের পর আর কোনো সিরিয়ালেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকি কাজের পরিমাণও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে স্টার জলসার ‘তোমাদের রাণী’ সিরিয়ালে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যাচ্ছে মধুপ্রিয়াকে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনিই ‘মুখ্য চরিত্র’।
ইনস্টাগ্রামে প্রায়ই ছবি শেয়ার করে থাকেন মধুপ্রিয়া। আর সেসব ছবিতে বেশিরভাগ সময়ই বোল্ড অবতারে দেখা মেলে তাঁর। সম্প্রতি মধুপ্রিয়ার কয়েকটি ছবি বেশ চর্চায় উঠে এসেছে। সাদা কালো ছবিতে প্যান্ট আর ডিপ হল্টার নেক টপে ধরা দিয়েছেন তিনি। খোলা চুল, গ্ল্যাম মেকআপে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে লেন্স বন্দি হয়েছেন অভিনেত্রী। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর চোখ ধাঁধানো অবতার।
প্রসঙ্গত, তিতলির পর আর মুখ্য চরিত্রে দেখা যায়নি মধুপ্রিয়াকে। সম্প্রতি এর কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, নায়িকা হতে হলে রোগা হতে হবে। গ্যাসট্রিক আলসার, ইনসমনিয়ার মতো রোগ রয়েছে তাঁর। তাই ওজন বাড়ে। পাশাপাশি খেতেও ভালোবাসেন তিনি। মধুপ্রিয়া বলেন, গোটা বিশ্বেই অভিনয় জগতে যদি নায়িকা হতে হয় তবে আকর্ষণীয় ফিগার হতে হবে। তবে মধুপ্রিয়ার কথায়, তিনি শুধু মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে আসেননি। তাঁর স্বপ্ন ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। কেন্দ্রীয় চরিত্রে সুযোগ পাওয়ার জন্য একটা লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বেশি অপেক্ষা করতে চাননি। মধুপ্রিয়া বলেন, নায়িকারা শুধুই ইতিবাচক। তারা সব পারে। কোনো স্তর নেই চরিত্রগুলির। তাই তিনি নিজেই পার্শ্ব চরিত্র এবং নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব রাখেন।
View this post on Instagram