স্টার জলসার একসময়ের জনপ্রিয় ও অত্যন্ত সমালোচিত ধারাবাহিক ‘তিতলি’-র নামভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন মধুপ্রিয়া চৌধুরী (Madhupriya Chowdhury)। তবে এরপর একাধিক ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে আগের মতো খ্যাতি পাননি তিনি। এর মধ্যেই তাঁর ওজন কিছুটা বাড়ায় যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছিলেন মধুপ্রিয়া। তবে আগের থেকে অনেকটাই ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রচুর খোলামেলা ছবিও শেয়ার করেন মধুপ্রিয়া। তার জন্য যথেষ্ট ট্রোলড হন তিনি।
সাম্প্রতিক কালে ইন্সটাগ্রামে মধুপ্রিয়া অনুরাগীদের সাথে তাঁর বিভিন্ন কথা শেয়ার করে নিতে এসেছিলেন লাইভে। স্বাভাবিক ভাবেই কিছু অতি উৎসাহী নেটিজেন তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, কতবার মধুপ্রিয়া যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন! এমনকি কত বছর বয়সে তিনি প্রথমবার কুমারীত্ব হারিয়েছিলেন! মধুপ্রিয়া একটি ইঙ্গিতবাহী ছবি শেয়ার লিখেছেন, ‘অনেকবার’ কথাটি। এর সাথে তিনি ব্যবহার করেছেন ইংরাজি ‘ফাক/ড আপ’ কথাটি। সাধারণতঃ বাংলায় এই কথাটি অনেক সময় ‘ঘেঁটে যাওয়া’ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মধুপ্রিয়া রহস্য উন্মোচনের ধারে কাছেই যাননি। বরং তিনি মুখে হাত চাপা দিয়ে ইশারায় ভরা হাসি হেসেছেন।
খুব অদ্ভুত ভাবেই একটি প্রশ্নকে মধুপ্রিয়া বানিয়ে নিয়েছেন নিজের পাবলিসিটি স্টান্ট। এর ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে মধুপ্রিয়া ভার্জিন কিনা! এবার এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলা প্রয়োজন। মহিলাদের ভার্জিনিটি নিয়ে সমাজের এত মাথা ব্যথা কেন? একজন পুরুষ সেলিব্রিটিকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর প্রেমিকা আছে কিনা! কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরুষদের ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অথচ একজন মহিলা সেলিব্রিটির ক্ষেত্রে উল্টে যায় নিয়ম। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তাঁর কুমারীত্ব নিয়ে। ওটিটি আসুক, টেলিভিশন সিরিয়ালে বদল আসুক অথবা ফিল্মের কন্টেন্ট পরিবর্তিত হোক, কিন্তু একবিংশ শতকেও কিছুতেই নেটিজেনদের একাংশ মানসিক পরিবর্তনের ধার-কাছ দিয়ে যেতে চাইছেন না।
মধুপ্রিয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘সাহেবের চিঠি’ ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে চিঠির বোন ভূমির ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন একসময়ের তিতলি।
View this post on Instagram