মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit), নামটা শুনলেই প্রথমে কী মনে পড়ে? অভিনয় আর তার সঙ্গে অবশ্যই নাচ। বলিউডে এ যাবৎ যতজন অভিনেত্রী এসেছেন, তাদের মধ্যে নাচের দক্ষতার ক্ষেত্রে মাধুরীর নাম প্রথমের দিকেই থাকবে। বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ এখনো জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তরুণী অভিনেত্রীদের টেক্কা দিতে পারেন। গ্ল্যামার, নাচ দু দিক দিয়েই তিনি এখনো অগ্রবর্তিনী হয়েই থাকবেন। তবে দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়েও গিয়েছেন মাধুরী। এমনকি সেন্সরের কোপেও পড়তে হয়েছে তাঁকে।
ফিরে চলুন ১৯৯২ সালে। সে বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘বেটা’ ছবিটি। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মাধুরী দীক্ষিত এবং অনিল কাপুরকে। আর এই ছবিরই গান ‘ধক ধক করনে লাগা’ সে সময় ঝড় তুলেছিল দর্শক মহলে। রাতারাতি যেন অনেকটাই সাবালক হয়ে উঠেছিল বলিউড। এই গানের জন্যই ‘ধক ধক গার্ল’ নামে জনপ্রিয়তা পান মাধুরী। তবে এই গানের জন্য কম সমস্যাতেও পড়তে হয়নি তাঁকে। সেন্সর বোর্ডের তরফে আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এই গানকে।
গানটির কোরিওগ্রাফি করেছিলেন প্রয়াত সরোজ খান। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের তরফে আপত্তি জানানো হয়েছিল এই বলে যে মাধুরীর নাচের কিছু স্টেপ সে সময়ে দর্শকদের জন্য একটু বেশিই উত্তেজক ছিল। কিছু দৃশ্য বাদ দিয়ে তারপর রিলিজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সেন্সরের তরফে। শেষমেষ বিষয়টায় নাক গলাতে বাধ্য হন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। তার দৌলতেই সে যাত্রা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।
কী করেছিলেন সরোজ খান? জানা যায়, সেন্সর বোর্ডের পরামর্শ শুনে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। ভেতরে এক সিন্ধি মহিলাকে দেখতে পান সরোজ। তিনি শাড়ির সঙ্গে হিল জুতো পরে ছিলেন। সরোজ খান তাঁকে বলেছিলেন, তিনি হাঁটলে তাঁর পশ্চাৎদেশ বেশি নড়বে। কারণ তিনি হিল জুতো পরেছেন। এটাই স্বাভাবিক। এতে কিছু খারাপ নেই। গানেই স্পষ্ট ‘ধক ধক’ শব্দদুটি রয়েছে। এই আওয়াজ শরীরের যে অংশ থেকে আসে সেই অংশটা দেখানোই তো স্বাভাবিক। তাছাড়া নাচ মানেই তো গোটা শরীর নাচানো। তারপরেই সেন্সরের তরফে মুক্তির ছাড়পত্র পায় ওই গান যা এখনো একই রকম সুপারহিট হয়ে রয়েছে।