নব্বইয়ের দশকে বলিউডের নামজাদা অভিনেত্রীদের তালিকায় সবথেকে উপরের সারিতে থাকে মাধুরী দীক্ষিতের (Madhuri Dixit) নাম। একটা সময় তার হাসিতেই মাতাল হতেন দর্শকরা। আর প্রেক্ষাগৃহে মাধুরীর নাচের মাধুর্যতা নিয়ে তো আলাদা একটা উন্মাদনার জোয়ার বয়ে যেত একটা সময়। এই অভিনেত্রীকে নব্বইয়ের দশকের ‘সেনসেশন’ বললেও ভুল হবেনা। কিন্তু এত সফল কেরিয়ারের আড়ালে বাস্তব জীবনেও কি ততটাই প্রাণোচ্ছল অভিনেত্রী? কেমন কেটেছে তার দাম্পত্য জীবন? এই নিয়ে ভক্তদের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। আর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের বাস্তব জীবনকে নিয়ে অকপটে বেশ কিছু কথা বলে গেলেন অভিনেত্রী।
১৯৯৯ সালে পেশায় চিকিৎসক শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন তৎকালীন ‘হার্টথ্রব’ নায়িকা মাধুরী। তার কয়েক বছরের মধ্যে দুই সন্তানের জন্ম। সেই সময়ে কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে আমেরিকায় ছিলেন অভিনেত্রী। সময়ে দিচ্ছিলেন পরিবার এবং দুই সন্তানকে। একদিকে স্বামীর ব্যস্ততা, অন্যদিকে সন্তানদের যত্ন, সবটা যেন সামলে নিতেন অভিনেত্রী। আর এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সন্তানদের খেয়াল রাখতে হয়, স্কুলে নিয়ে যেতে হয়, সময়ও একটা বড় ব্যাপার। হয়তো একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটছে, শ্রীরামকে দরকার, কিন্তু সে তখন ব্যস্ত হাসপাতালে, রোগীর দেখাশোনা করছে। কখনও হয়তো আমি অসুস্থ, কিন্তু সে হাসপাতালে রোগীর পরিচর্যায় ব্যস্ত।”
তবে এমনটা নয় যে স্বামীকে নিয়ে আক্ষেপ জমে রয়েছে অভিনেত্রীর মনে। বরং স্বামীর কাজে তিনি গর্ববোধ করেন। কারণ মানুষের সেবা তার অন্যতম পছন্দের একটি বিষয়। এই প্রসঙ্গে মাধুরী বলেন, “আমি জানি, তুমি ভাল মনের মানুষ। বিয়ের ক্ষেত্রে জীবনসঙ্গীকে জানাটা খুব জরুরি।” এর পাশাপাশি অভিনেত্রী বলেন, “এমনও হয় যে, চার-পাঁচ দিন টানা হাসপাতালে কাটানোর পর ও বাড়ি ফেরে। ফিরেই আমাকে বলে অন্তত ঘণ্টা চারেক ঘুমোতে চাই। তার পর মাধুরী তুমি খুশি মতো কাজে যেতে পারো। ও এই সময় আমাকে আশ্বস্ত করে বলে যে, সেই সন্তানদের খেয়াল রাখবে।”
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ দিয়ে বলিউডে হাতেখড়ি হয় মাধুরীর। এর পর একের পর এক বাণিজ্যিক ছবি করে ইন্ডাস্ট্রির নিজের নাম সামিল করেন প্রথম সারির নায়িকাদের তালিকায়। একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে তিনি জুটি বেঁধেছেন পর্দায়।
View this post on Instagram