নব্বইয়ের দশকে বলিউডে ‘হার্টথ্রব’ নায়িকা ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। তার অভিনয়ের থেকে বেশি মুগ্ধতা আদায় করে নিত মোহময়ী সৌন্দর্য্য। একসময় মাধুরীকে পর্দায় দেখলেই হাততালি ও সিটিতে গমগম করত গুমোট সব প্রেক্ষাগৃহ। এখনো তাকে ঘিরে এই সেনসেশন রয়ে গেছে কিছুটা হলেও। তবে এবার এক অন্য গুঞ্জন শুরু হল অভিনেত্রীকে ঘিরে। সেটা অবশ্যই তার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কি এমন করলেন এই সুন্দরী নায়িকা, যা থেকে তৈরি হল গুঞ্জন? দেখে নিন সবিস্তারে।
কয়েকমাস আগে এই বলি-কুইনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল ‘প্রেগনেন্সি’ বিতর্ক। আজ্ঞে হ্যাঁ, তৃতীয়বার মা হতে চলেছেন মাধুরী, এই খবরে ছড়িয়ে পড়েছিল বি-টাউনের পেজ-থ্রি-তে। আর এই খবরের সূত্রপাত ঘটেছিল এক প্যাপের ক্যামেরায় ধরা পড়া অভিনেত্রীর একটি ছবি থেকে। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীর তলপেট কিছুটা স্ফীত। একদৃষ্টি দেখলে সেটিকে ‘বেবি-বাম্প’ বলে মনে হবে যে কারো। আর এই থেকেই অনেকেই অনুমান করেছিলেন যে তৃতীয়বার মা হতে চলেছেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এই খবর কি আদৌ সত্যি? নাকি শুধুই গুঞ্জন?
১৯৯৯ সালে মাধুরী কলোরাডোর ডেনেভারে কর্মরত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন শ্রীরাম মাধব নেনে-কে বিয়ে করেন। ডাঃ নেনে মারাঠী ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান। বিয়ের চারবছর পর তাদের কোল আলো করে আসেন তাদের প্রথম পুত্র আরিন। ২০০৫ সালে জন্ম হয় তাদের দ্বিতীয় পুত্র রায়ানের। তারপর থেকে আর এমন খবর শোনা যায়নি অভিনেত্রীকে ঘিরে। তবে এই ছবি দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু সবটাই যে গুঞ্জন, তা দেখা গেছে সময়ে সময়ে। বয়সের কারণেই তলপেটে মেদ জমে। আর টাইট পোশাক পরলে তা ‘বেবি-বাম্প’-এর মতো লাগে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলেই জানা গেছে। এছাড়াও ইচ্ছাকৃতভাবে ছবিগুলি ভাইরাল করার জন্য ফটোশপের সাহায্যে কারচুপি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাধুরী দীক্ষিত ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। কিছু শিশু ও সহ-অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ের পর তিনি ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ ছবিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছবিটিই তাকে খ্যাতির উচ্চতর আসনে বসায় ও প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়।
View this post on Instagram