মাধ্যমিক পাশ থাকলেই সরকারি চাকরির সুযোগ, ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করবে ডাক বিভাগ
করোনা অতিমারী কাটিয়ে উঠে জনজীবন স্বাভাবিক হওয়ার পথে হাঁটলেও, এই সময়ে তীব্র মন্দা চাকরির বাজারে। সরকারি নানা দপ্তরে যেমন চাকরির আশা কমেছে, কমেছে বিজ্ঞপ্তি; তেমনই বেসরকারি স্থানেও বেড়েছে কর্মী ছাঁটাই। এককথায় দিনের পর দিন অমিল হচ্ছে চাকরি। গোটা দেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও অনেকেই আজকাল বেকার।
আর সেই কারণে অনেকেই চাকরির আশা ছেড়ে দিচ্ছেন দিনের পর দিন। তবে এই অবস্থায় সুখবর শোনাল ভারতীয় ডাকবিভাগ। এবার মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতাতেই মিলবে চাকরি। একাধিক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পোস্ট অফিস। জানা গেছে, প্রায় ৩৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় ডাকবিভাগ। এখন একনজরে দেখে নিন এই নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য।
■ নিয়োগকারী সংস্থা: Indian Post Office
■ শূন্যপদ: একাধিক শূন্যপদে মোট ৩৪,৯৬২ জনকে নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে ‘পোস্টম্যান’ পদের জন্য শূন্যপদের সংখ্যা ১৮৯৪৪ টি, ‘মেইল গার্ড’ পদের জন্য শূন্যপদ রয়েছে ৯৮৭১ টি, এবং ‘এমটিএস’ পদের জন্য শূন্যপদের সংখ্যা ৬১৪৭ টি।
■ বয়সসীমা: এই চাকরিতে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। চলতি বছরের হিসেবে বয়সের হিসেব কষে রাখার পরামর্শ দিয়েছে নিয়োগকারী সংস্থা।
■ শিক্ষাগত যোগ্যতা: এই চাকরির শূন্যপদে আবেদন করার জন্য প্রতিটি পদের ক্ষেত্রেই একই শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। পোস্টম্যান, মেইল গার্ড ও এমটিএস পদের জন্য নূন্যতম কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে মাধ্যমিক পাস করতে হবে আবেদনকারীকে। এছাড়াও কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়।
■ আবেদন প্রক্রিয়া: এইসব শুন্যপদের জন্য আবেদনকারীদের অনলাইনে আবেদন করার কথা জানানো হয়েছে। এর জন্য প্রথমেই ডাকবিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে শুরুতেই বৈধ মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এইবার আপনাকে নির্দিষ্ট পোস্টের জন্য ফর্মটি সঠিক ও নির্ভুলভাবে ফিল-আপ করতে হবে। তারপর সমস্ত নথি দিয়ে সাবমিট করলেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হবে। এক্ষেত্রে আবেদনের কোনো মূল্য দিতে হবেনা আবেদনকারীকে।
■ প্রয়োজনীয় নথিপত্র: এক্ষেত্রে আবেদনের জন্য যে নথিগুলি স্ক্যান করে দিতে হবে তা হল- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, বয়সের প্রমাণপত্র, বাসস্থানের প্রমাণপত্র, আধার বা ভোটার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র, জাতিগত প্রমাণপত্র(যদি থাকে) ও পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র।