দিন যত যাচ্ছে বেড়েই চলেছে করোনার মহাতান্ডব। সংবাদমাধ্যম খুললেই এখন একটাই খবর নিত্যদিন বেড়েই চলেছে সংক্রমণের পরিমাণ। ৷ একের পর এক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসের এই দ্বিতীয় ঢেউতে। আগের থেকে কোভিড এখন বেশ শক্তিশালী৷ আর এই দ্বিতীয় ঢেউতে সাধারণ মানুষ থেকে বিনোদন দুনিয়াও আক্রান্ত হয়েছে। কিছুদিন আগেই করোনাতে আক্রান্ত হন অভিনেতা সতীশ কল। যাকে সকলে মহাভারতের ইন্দ্র নামে চেনেন সকলে।
৬ দিন আগে থেকে জ্বরে ভুগছিলেন সতীশ। তখনই তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড পরীক্ষায় ইতিবাচক ফল আসে। কোভিডের কাছে শেষমেশ হেরে চলে গেলেন ‘মহাভারত’ খ্যাত অভিনেতা সতীশ কল। শনিবার ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেতা সতীশ কল। কোভিড সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন বিগত ৬ ধরে। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন তাঁর একমাত্র বোনকে।
একসময় অভিনেতা একাধিক হিন্দি ছবি ও ধারাবাহিকে কাজ করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন সতীশ। তবে দর্শক তাঁকে আজ ও বিশেষ করে মনে রেখেছিলেন একটি চরিত্রের জন্য। বি আর চোপড়া পরিচালিত ‘মহাভারত’-এর ‘দেবরাজ ইন্দ্র’ হিসেবে। এ ছাড়াও তিনি প্রায় ৩০০-র বেশি পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১১ সালে মুম্বই থেকে পঞ্জাবে ফিরে যান অভিনেতা। সেখানে একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেন তিনি। কিন্তু এরপর তাঁকে আর অভিনয় জগতে সেভাবে দেখা যায়নি।
২০১৫ সালে কোমরের হাড় ভেঙে পরবর্তী আড়াই বছর শয্যাশায়ী ছিলেন। বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটতে থাকে তাঁর। তার পরে একটি বাড়ি ভাড়া নেন। হাতে কাজ না থাকায় এই লকডাউনের সময় খুবই অর্থকষ্টে দিন কেটেছিল অভিনেতা সতীশের। চরম অর্থাভাবে লকডাউনের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করতে খুব সমস্যায় পড়েছিলেন অভিনেতা। তবে তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর অভিনয় করার ইচ্ছে আগের মতোই ছিল। শুধুমাত্র কেবল সুযোগের অভাবে বসে ছিলেন তিনি। অভিনেতার স্বপ্ন ছিল অন্তত নিজের একটা বাড়ি হোক। অভিনয় করার জন্য পরিচালকরা তাঁকে ডাকুন। কিন্তু সে সব ইচ্ছাপূরণের আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন সতীশ কল। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া বিনোদন জগতে।