Govt Scheme: বাড়িতে মেয়ে হলেই ১ লাখ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, এই ধরণের রেশন কার্ড থাকলেই হবে
ভারত বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ভারতে এখনো তেমনভাবে সাবলীল নন মহিলারা। এখনো অনেক রাজ্যের অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার আলোটুকু পৌঁছায়নি মহিলাদের মধ্যে। আর দেশের বেশিরভাগ মহিলা এখনো আর্থিকভাবে তেমন স্বাধীন বা স্বচ্ছল নয়। আর্থিক বিষয়ে পরিবারের থেকে সহায়তা নেওয়ার রীতি এখনো রয়ে গেছে। আর এইসব কারণে ভারত সরকার মহিলাদের সুবিধার্থে নানা প্রকল্প ও স্কিম চালু করে থাকে। এইসব স্কিমে মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রচেষ্টা করে সরকার।
বর্তমানে দেশে মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক স্কিম ও যোজনা চালু রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের যেমন একাধিক এরকম স্কিম রয়েছে, তেমনই কিসবু রাজ্য সরকার শিশুকন্যাদের জন্য অনেক স্কিম চালু করেছে। এইসব স্কিম ও যোজনায় নানাভাবে জন্মের পর থেকে বিয়ে অবধি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের রাজ্য সরকার মহিলা ও শিশুকন্যাদের উন্নয়নের জন্য চালু করেছে ‘লেক লাডকি স্কিম’। এই স্কিমের অধীনে একজন শিশুকন্যার জন্ম থেকে তার বড় হওয়া অবধি মোট ১ লক্ষ টাকার বেশি প্রদান করা হয় সরকারের থেকে। গত, এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে এই স্কিম।
তবে সব শিশুকন্যা কিন্তু এই স্কিমের সুবিধা পাবেন না। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের রেশন ব্যবস্থার অধীনে যেসব পরিবার কমলা ও হলুদ রেশন কার্ডের অধিকারী, কেবলমাত্র তাদের পরিবারে শিশুকন্যার জন্ম হল এই সুবিধা প্রদান করা হবে। কিন্তু কারা কারা এই ধরণের রেশন কার্ড পেয়ে থাকেন। সেই রাজ্যের সরকারি তথ্যানুযায়ী, মহারাষ্ট্রের যেসব পরিবারের বার্ষিক আয় ১৫,০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা তাদেরকে কমলা রেশন কার্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও সেই রাজ্যের শহর এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের বার্ষিক আয় ১৫,০০০ টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা, তাদের হলুদ রেশন কার্ড দেওয়া হয়।
এবার এইসব পরিবারে কোনো শিশুকন্যার জন্ম হলে জন্মের পর থেকেই একাধিক ধাপে মোট ১ লক্ষ টাকার বেশি দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে, শিশুকন্যার জন্মের পর পরিবারের হাতে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ওই শিশুকন্যা প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময়, তার পরিবার পাবে ৬ হাজার টাকা। এরপর তৃতীয় ধাপে ওই শিশুকন্যা, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার পরিবার পাবে ৭ হাজার টাকা। এরপর ওই তরুণী নবম শ্রেণিতে ভর্তি হলে, তার পরিবার পাবে ৮ হাজার টাকা। এরপর ওই তরুণীর বয়স ১৮ বছর হলে তার পরিবার পাবে ৭৫ হাজার টাকা।