Hoop PlusTollywood

Noble Man: এত মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল যে গুনে শেষ করা যাবে না: নোবেল

এপার বাংলা থেকে ওপর বাংলা, বাঙালিদের খুবই পছন্দের গায়ক ছিলেন মাইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Noble)। একটা সময় ছিল, যখন নোবেল গান ধরলেই তা হত ‘সুপার হিট’। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ এর মঞ্চ থেকে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নোবেল। তারপর থেকে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন গায়ক। একবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছিলেন এই গায়ক। তবে সেই সময় তাকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। দুই বাংলার শ্রোতাদের কাছেই অনেকটা জায়গা হারিয়েছিলেন তিনি।

তবে তারপর আবারো শিরোনামে আসে এই গায়কের নাম। কারণটা অবশ্য আলাদাই ছিল। এবার ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে খবরে আসেন নোবেল। প্রসঙ্গটা ছিল তার বিয়ে নিয়ে। একবার নয়, দু’বার নয়, এই গায়ক তিনবার বিয়ে করেছেন জীবনে, এই অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকেই। আর এই অভিযোগ ওঠে ২০১৯ সালের পর, যখন তিনি মেহরুবা সালসাবিলের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেবছর ১৫ ই নভেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। আর তার এই বিয়েটিকে তৃতীয় বিয়ে বলে দাবি করেন অনেকেই। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেন গায়ক। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রেম করে বিয়ে করেছি। পরিচয় হওয়ার পর আড়াই মাস প্রেম করেছি। একটা সময় আমরা দুজন সিদ্ধান্ত নিলাম বিয়ে করব। করে ফেলেছি” তিনি এও বলেন যে মেহরুবার বাড়িতে এই বিয়ে প্রথমে মেনে না নেওয়ার কারণে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। যদিও পরে সব মিটমাট হয় বলে খবর।

তবে তার বিরুদ্ধে তৃতীয় বিয়ের অভিযোগ রয়েই গিয়েছিল। কিন্তু এই অভিযোগকে একবাক্যে অস্বীকার করেন গায়ক। তার দাবি ছিল যে তিনি একাধিকবার অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও বিয়ে তিনি এর আগে করেননি। এক সাক্ষাৎকারে নোবেল বলেন, “আমার সঙ্গে এর আগে কোনও মেয়ের বিয়ে হয়নি। তবে আমার সঙ্গে অনেক মেয়ের রিলেশন ছিল। এত মেয়ের রিলেশন ছিল যে গুনে শেষ করা যাবে না। আর বয়সের কারণে এটা হয়ই। বিয়ের আগে সবার জীবনে এমন প্রেম থাকেই। কারও কম, কারও বেশি। আমার একটু বেশিই ছিল। এ অবস্থায় এখন যদি বলা হয় এটি আমার তৃতীয় বিয়ে, ঠিক নয়। তৃতীয় বিয়ের খবরটি গুজব, বিভ্রান্তিকর।”

যদিও সেই বিয়েও টেকেনি এই গায়কের। বিয়ের বছরখানেকের মধ্যেই ডিভোর্স ঘটে নোবেল ও মেহরুবার। ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠান মেহরুবা। ডিভোর্সের কারণ হিসেবে জানান, ‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ। মাদকাসক্ত। নারী, নেশা-সহ নানাভাবে আমায় নির্যাতন করত। সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে ওকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Related Articles