আবারও চর্চায় প্রবীণ অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar)। সপ্তাহ খানেক আগেই তাঁর শাড়ির আঁচল নিয়ে করা একটি মন্তব্য ব্যাপক শোরগোল ফেলেছিল নেট পাড়ায়। দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন নেটিজেনরা সহ টলিপাড়ার অনেক তারকারাও। এক সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেছিলেন, বর্তমানে মেয়েরা অনেকে শাড়ির আঁচল সঠিক জায়গায় রাখে না। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি যৌনকর্মীদের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। ‘ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়ানো মেয়ে’ মন্তব্যটি ভালো ভাবে নেননি অনেকেই। হয়েছিল বিস্তর তর্ক বিতর্ক। মমতা শঙ্করের বিপক্ষে গিয়ে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
এবার মুখ খুললেন মমতা শঙ্কর নিজে। সদ্য বক্স অফিসে ১০০ দিন পূরণ করেছে তাঁর অভিনীত ছবি ‘প্রধান’। সেই উপলক্ষে উদযাপনে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা শঙ্কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং এর বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কথায় বলেন, তাঁর কিছুই গায়ে লাগেনি। এত মানুষের সমর্থন তিনি পেয়েছেন। তাই অন্য কিছু তিনি ভাবছেন না। মমতা শঙ্কর বলেন, যাঁরা ওরকম ভাষায় তাঁকে ট্রোল করেছেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করেছেন।
মমতা শঙ্করের বিপক্ষে মুখ খোলা মানুষদের মধ্যে একজন ছিলেন স্বস্তিকাও। গত বছরেই তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছে তাঁদের ছবি ‘বিজয়ার পরে’। এই ছবিতে মমতা শঙ্করের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা। তিনিই যখন কটাক্ষ করলেন, কেমন লেগেছিল অভিনেত্রীর? মমতা শঙ্কর বলেন, ‘স্বস্তিকা যেরকম ভাবে বলেছে, ও আমার মেয়ের মতো। ওকে আমি এত ভালোবাসি। এত ভালো অভিনেত্রী। ও সোজাসুজি আমার সামনে এসে কথাটা বললে আপত্তি ছিল না। কিন্তু ও যেভাবে একটা ছবি দিয়ে নিজের অবস্থান জানাল, তাতে ও নিজেকে ছোট করল। আমি যা বলেছি আমি তাতে অনড়, আমার কথার এদিক ওদিক হবে না’। মমতা শঙ্কর আবারো বলেন, তাঁর মন্তব্য আবার শুনলেই বোঝা যাবে যে তিনি যৌনকর্মীদের অশ্রদ্ধা করেননি।
মমতা শঙ্করের মন্তব্যের পর ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলার কার্টুন শেয়ার করেছিলেন স্বস্তিকা। কার্টুনে দেখা গিয়েছিল, ল্যাম্পপোস্টের নীচে এক মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাঁর আঁচলের ফাঁকে উন্মুক্ত বক্ষবিভাজিকা। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমিও এরকম একটা ছবি তুলব, ল্যামপোস্ট এর নিচে দাঁড়ানো খারাপ মেয়েগুলো কে উৎসর্গ করে। শাড়ির আঁচলেই কিনা সব সম্মান লুকিয়ে আছে যদি ওরা জানতো। আমার বন্ধু ফটোগ্রাফাররা একটু হাত খালি হলে জানিও।’