বলি টাউনের হ্যাপনিং গার্ল বলতে আগেই মাথায় আসবে এই নামটি মন্দিরা বেদী৷ ছোট পর্দার দৌলতে দর্শকদের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘শান্তি’ হিসেবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিচয় ভেঙে ফেলে নিজেকে নতুন ছা্ঁচে গড়ে তুলেছেন বার বার। তবে এখনও খল চরিত্রেই অভিনয় করতে ভালবাসেন মন্দিরা। সিনেমার চরিত্রে বাছাই করেন বেশ চিন্তাভাবনা করে। নিজের ওয়ার্কআউট করার জন্য পেজ থ্রিতে শিরোনামে থাকেন এই সেলিব্রেটি।
সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে খেলার সঞ্চালনাতেও দেখা যায় মন্দিরাকে। অভিনেত্রীর সঞ্চালনাতেই নতুন মাত্রা পায় ক্রিকেট সম্প্রচার। ম্যাচের আগে মন্দিরার সঞ্চালনায় আগের থেকে অনেকটাই রঙিন হয়ে ওঠে ক্রিকেট মহল। কেরিয়ারের প্রথমেই ১৯৯৯ সালে মন্দিরা বিয়ে করেছেন। তাঁর স্বামী রাজ কৌশল পেশায় একজন পরিচালক এবং প্রযোজক। বিয়ের ১২ বছর পরে জন্ম হয় তাঁদের প্রথম সন্তানের। ছেলের নাম ভালোবেসে তাঁরা রাখেন বীর। বীরকে নিয়ে বেশ ছিলেম মন্দিরা। তবে অভিনেত্রীর মনে হয়েছিল, কন্যাসন্তান না হলে তাঁর পরিবার পরিপূর্ণ হবে না। আর নিজের প্রথম সন্তানকে এক জন খেলার সঙ্গীও দিতে চেয়েছিলেন এই দম্পতি।
তবে দ্বিতীয় সন্তান তাঁরা পেতে চেয়েছিলেন দত্তকের মাধ্যমে। সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটিতে আবেদন জানানোর পর রাজ এবং মন্দিরা ২ বছরেরও বেশি অপেক্ষার পরে আগের বছরে আগস্ট মাসে ৪ বছর বয়সি কন্যাসন্তানকে দত্তক নিয়েছেন।মেয়েকে ভালোবেসে নাম রেখেছেন তারা। মেয়েটি অনাথ হওয়াতে বরাবরের মতো কিছু মানুষ এই নিয়ে কটুক্তি করতে ভোলেননি। সেলেবের সন্তান হোক কিংবা সাধারণ মানুষের ছেলে মেয়েই হোক। মন্দিরার এই কন্যা সন্তান ও ব্যতিক্রম নন।
View this post on Instagram
এই একরত্তি তারার চেহারা নিয়ে কিছু নেট দুনিয়ার মানুষ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে ছাড়েননি। চোখে আঙুল দিয়ে মনে করিয়ে দিলেন সামাজিক বিভেদের কথা। তারা অনাথ বলে তাকে নানান ভাবে অপদস্ত হতে হল৷ এক নেটনাহরিক লিখলেন, ‘কোন বস্তি থেকে এই মেয়েকে তুলে এনেছেন?’ আর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘রাস্তার মেয়েকে এখানে মানাচ্ছে না’।
এরপর ২টি ম্যাসেজ পেয়ে নিস্তব্ধ থাকেননি মন্দিরা। এই কুমন্তব্যের জন্য তিনি গর্জে উঠলেন। প্রথম নেটনাগরিকের বক্তব্যের উত্তরে লিখেছেন, এই ধরনের মানসিকতার মানুষদের বিশেষ উল্লেখ প্রয়োজন। তিনি তার নজরে চলে এসেছেন। দ্বিতীয় ব্যক্তির উদ্দেশ্যে লিখলেন, এই মানুষটি নিজেকে রাজেশ ত্রিপাঠী বলে পরিচয় দিয়েছেন। যা অবশ্যই নিজের নাম নয়। কারণ এই জাতীয় অসুস্থ মানসিকতার মানুষরা ভীতু হয়। নিজেদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পায়।
View this post on Instagram