14 ই ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিন, ভ্যালেন্টাইন’স ডে। একে অপরের হাত ধরে কথা দেওয়া, লাল গোলাপের পাপড়ি। মুখর একটি দিন। কিন্তু মুম্বইয়ের ‘রামা’ বাংলো ঠিক ততটাই নিশ্চুপ, স্মৃতিমেদুর। গত বছর আচমকা প্রয়াত হয়েছেন রাজ কোশল (Raj Koshal)। তার পর থেকেই মন্দিরা বেদী (Mandira Bedi)-র কাছে প্রতিটা দিন নতুন করে বাঁচার শপথ। নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন কর্মজগতে, দুই সন্তান প্রতিপালনে। রাজ সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মন্দিরার উচ্ছল হাসি। এক সকালে ওয়ার্কআউটের সময় মেয়ে তারা (Tara) নতুন করে মাকে হাসতে শিখিয়েছে। আবারও ফিরে এসেছে ভ্যালেন্টাইন’স ডে। ভালোবাসার দিনে প্রিয়তম বন্ধু রাজের সাথে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মন্দিরা। 22 তম বিবাহবার্ষিকীতে জানতেন না, একাই কাটাতে হবে 23 তম বিবাহবার্ষিকী। কিন্তু সত্যিই কি একা মন্দিরা? তাঁর ভালোবাসার মধ্যে কোথাও কি নেই রাজ?
ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র সকালে তাঁদের বিয়ের দুটি ছবি শেয়ার করে মন্দিরা লিখেছেন, আজ তাঁদের 23 তম বিবাহবার্ষিকী। তার সাথে জুড়ে দিয়েছেন ভেঙে যাওয়া হৃদয়ের ইমোজি। হৃদয়টা ভেঙে গিয়েছিল যখন নিয়ম ভেঙেছিলেন। রাজকে কাঁধ দিয়েছিলেন মন্দিরা। নিজে হাতে মুখাগ্নি করেছিলেন। শেষবারের মতো ‘রামা’ বাংলো থেকে রাজকে নিয়ে যখন বেরিয়ে গেলেন হাঁটতে হাঁটতে, টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলেন মন্দিরা। তাঁকে সামলাতে সচেষ্ট ছিলেন বন্ধুরা। মানতে পারেননি মন্দিরা। এত তাড়াতাড়ি কথা ছিল না চলে যাওয়ার। কথা ছিল, দুজনে একসাথে হেঁটে যাবেন ছায়াপথ।
শেষ বিকেলে মুখাগ্নির পর মন্দিরা নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়েও পারছিলেন না। রাজ ও তিনি যে অবিচ্ছেদ্য। গত বছর 30 শে জুন, মাত্র 49 বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছিলেন রাজ। সময় দেননি মন্দিরাকে। এরপর থেকেই রাজের স্মৃতি সম্বল করে একাই চলতে শুরু করেছেন মন্দিরা। মায়ের সঙ্গী বীর (Veer) ও তারা।
মুকুল আনন্দ (Mukul Anand), সুভাষ ঘাই (Subhash Ghai)-এর মতো পরিচালকদের সহকারী হিসাবে কাজ করতে করতে 1998 সালে রাজ খুলেছিলেন নিজের বিজ্ঞাপন প্রযোজনা সংস্থা। আটশোর বেশি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছিলেন নিজের পরিচালনায়। এছাড়াও ‘পেয়ার মে কভি কভি’, ‘শাদি কা লাড্ডু’-র মতো একাধিক ফিল্মের পরিচালক ছিলেন রাজ। আজ রাজ নেই, সিংহাসনটা শূন্য।
View this post on Instagram