মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে যাঁরা ফিরে এসেছেন নতুন জীবনে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মণীষা কৈরালা (Manisha Koirala)। ক্যান্সার হওয়ার ফলে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বর্তমানে অনেকটাই ভালো রয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পাশাপাশি এক যন্ত্রণাময় অনুভবের শিকার তিনি। জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবসে মণীষা অনুরাগীদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নিজের অনুভূতির কথা।
জাতীয় ক্যান্সার সচেতনতা দিবসে যাঁরা ক্যান্সার চিকিৎসার জার্নির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের ভালোবাসা জানিয়ে সফলতা কামনা করেছেন মণীষা। তিনি লিখেছেন, এই যাত্রা কঠিন। কিন্তু তার থেকেও কঠিন মানসিকতার মানুষ হলেন তাঁর অনুরাগীরা। এই কারণে মণীষা তাঁদের শ্রদ্ধা করেন। তিনি মনে করেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে সমাজে প্রভূত সচেতনতা প্রয়োজন। এই সচেতনতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। ধীরে ধীরে তৈরি হওয়া আশার কাহিনী, সাফল্যের কাহিনী সকলকে জানাতে হবে। ভয় পেলে চলবে না, লড়াই করতে হবে। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে নিজের পরিবারকে পাশে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মণীষা।
2012 সালে মণীষার ওভারিয়ান ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার কারণে তাঁকে আমেরিকায় থাকতে হয়েছিল। তিন বছর পর 2015 সালে নিজেকে ক্যান্সার মুক্ত বলে ঘোষণা করেন মণীষা। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর চিকিৎসার সময় মানুষ হিসাবে অনেক বদলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে মণীষার মুখে সেই কথা শোনা গিয়েছিল।
তিনি বলেছিলেন, তিনি অনেক মুহূর্ত তৈরি করতে চাইতেন। ছোট ছোট জিনিসে আনন্দ খুঁজে নিতেন। ঘাসের উপর হাঁটা, বিছানায় বসে জানালা দিয়ে আকাশ দেখা, মেঘ, সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত দেখা তাঁর মন ভালো করে দিত। কারণ তিনি জানতেন না, আগামীকাল বেঁচে থাকবেন কিনা! তাই নিজেকে সবসময়ই আনন্দে রাখার চেষ্টা করতেন। সাহস করে সেই দুঃসহ পর্যায় পেরোনোর পর তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন সাহসী হয়ে ওঠার।
View this post on Instagram