Skin Care: ফিরবে ত্বকের হারানো জেল্লা, এই উপায়ে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন গাঁদা ফুলের তেল
শীতকাল মানেই চারিদিকে রঙের বাহার। গাঁদা (Marigold Flower), চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, সূর্যমুখী, পপি কতশত না ফুল ফোটে এই সময়। ছাদ ব্যালকনির টব, বাগানে উপচে পড়ে রঙবেরঙের ফুল। তবে এত ফুলের মধ্যে শীতকালীন ফুল হিসেবে কিন্তু গাঁদার কথাই সবার আগে মাথায় আসে। হলুদ, কমলা নানান রঙের গাঁদাফুল ফোটে এই সময়ে। এই ফুল শুধু বাড়ির সৌন্দর্যই বাড়ায় না, আরো অনেক কাজে লাগে গাঁদা।
জানলে অবাক হবেন, ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী গাঁদা ফুল। এই ফুলের রস ত্বকের যত্ন করতে অনেক কাজে লাগে। গাঁদা ফুলের আরেক নাম ক্যালেন্ডুলা। গাঁদা ফুলের রস অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এই ফুলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। গাঁদা ফুল থেকে তেলও তৈরি হয় যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
গাঁদা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে তৈরি করা হয় এই তেল। রুক্ষ শুষ্ক ত্বকে জেল্লা ফিরে দেয় গাঁদা ফুল থেকে তৈরি এই তেল। শুধু তাই নয়, বয়সের কারণে হওয়া ত্বকের বলিরেখাও দূর করে এই বিশেষ তেল। গাঁদা ফুলের পাপড়িতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণর সমস্যাও কমায়। ত্বকের প্রচুর উপকারে লাগে গাঁদা ফুলের এই বিশেষ তেল।
কিন্তু কীভাবে তৈরি করা যাবে এই তেল? উল্লেখ্য, বাড়িতেই সহজে তৈরি করা যায় গাঁদা ফুলের এই তেল। প্রথমে গাঁদা ফুল সংগ্রহ করে পাঁপড়ি গুলি ছিঁড়ে নিয়ে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে। এই তেল তৈরি করতে প্রয়োজন হবে অলিভ, জোজোবা কিংবা সুইট আমন্ড অয়েল। শুকিয়ে রাখা গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি গুলি যে কোনো একটি তেলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহ পরে তেল থেকে পাঁপড়ি গুলি ছেঁকে তুলে নিতে হবে। এতে গাঁদা ফুলের নির্যাস মিশে যাবে ওই তেলে। ব্যস, তৈরি গাঁদা ফুলের বিশেষ তেল। এই তেল ত্বকে মাখলেই ফুটে উঠবে জেল্লা।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।