Hoop Life

পুরুষদের হস্তমৈথুন আদৌ ক্ষতিকারক, শরীরের জন্য কতখানি নিরাপদ! রইল খোলাখুলি আলোচনা

হস্তমৈথুন নিয়ে আমাদের সমাজে একটি নেতিবাচক দিক সব সময় উঠে আসে। অনেকেই মনে করেন, যে সমস্ত পুরুষরা বেশি হস্তমৈথুন করেন পরবর্তীকালে তারা বাবা হতে পারেন না অথবা মানসিক বিকারগ্রস্থ হন। পুরো বিষয়টি একেবারে মিথ্যা বা একেবারে সত্যি নয়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় পুরুষদের হস্তমৈথুন। ছেলেরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীরের নানান শারীরবৃত্তীয় বিকাশ ঘটতে থাকে। সে বালক থেকে পুরুষ হয়। ছেলেরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে যদি কোন পুরুষ থাকে বিশেষ করে বাবা, দাদা অথবা মা যদি বন্ধুর মতন থাকতে পারেন তাহলেও সে ছেলেটিকে বোঝাতে পারেন হস্তমৈথুন সম্পর্কে। বিষয়টি একেবারেই লজ্জাজনক নয়, খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা।

বিশেষজ্ঞের মতে, হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এর ফলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। যদিও ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, অষ্টাদশ-উনবিংশ শতকে কিছু ইউরোপীয় ধর্মতাত্ত্বিক এবং চিকিৎসকগণ এটিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এটি কোনোভাবেই ভয়ংকর ঘটনা নয়, আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হস্তমৈথুনকে একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর ও মানসিক আচরণ বলে চিহ্নিত করেছে। মানসিক চাপ কমাতে হস্তমৈথুন খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। হস্তমৈথুন একটি কামোদ্দীপক প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পরিণতিতে পুরুষের বীর্যপাত হতে পারে। তবে অনেক সময় পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা গেছে বীর্যপাতের আগেই হস্তমৈথুন পর্ব শেষ হয়।

বর্তমানের সামাজিক পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য হস্তমৈথুনের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। গবেষণায় উঠে আসছে সপ্তাহে একদিন হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ নয়। বরঞ্চ মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে এটি সাহায্য করে। কিন্তু যখন হস্তমৈথুন আপনার হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে অর্থাৎ সারাক্ষণ আপনি মানসিকভাবে এটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বেন, তখন এটি আপনার স্বাভাবিক জীবনকে একটু বিপর্যস্ত করতে পারে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শারীরিকভাবে দুর্বল মনে হতে পারে। কাজ না করতে ইচ্ছা করতে পারে। চেষ্টা করুন নিজেকে মানসিক ভাবে বোঝানোর যাতে আপনি এটি থেকে কিছুদিনের জন্য দূরে থাকতে পারেন। একান্তই যদি আপনি হস্তমৈথুনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন, কিছুতেই যদি বিষয়টি থেকে আপনি দূরে যেতে না পারেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সে ক্ষেত্রে মানসিক চিকিৎসক ও আপনাকে নানাভাবে সাহায্য করতে পারে। তাই ভুল ধারণা ভেঙে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।