Unknown Fact: ইউরোপে গিয়ে ‘সু-সু’ পেয়েছে বললেই মুশকিল, সেখানে এই শব্দের অর্থ জানলে চমকে উঠবেন
দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
তবে দেশ-বিদেশে গিয়ে সেখানকার ভাষা না জানলেই পড়তে হয় অনেক সমস্যায়। কোনো দরকারে যেমন সেই জিনিস মেলেনা, তেমনই সেখানে কাউকে কিছু বোঝাতে গেলেও হয় সমস্যা। এবার আমাদের দেশে ‘সু-সু’ হল একটি সাধারণ শব্দ। এই শব্দটি আমাদের দেশে ‘টয়লেট পেয়েছে’ বোঝানো হয়। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন যে এই ‘সু-সু’ শব্দটি অন্যান্য ভাষায় ও এক অর্থ বহন করে। এই প্রতিবেদনে দেখে নিন সেইসব অর্থগুলি।
● ইউরোপ: উত্তর স্পেন এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের সংলগ্ন অংশে আদিবাসীদের একটি প্রচলিত ভাষা হল বাস্ক। এই বাস্ক ভাষায় ‘সু সু’ শব্দের অর্থ ‘গুলি করো’। তাই সেখানে গিয়ে এই শব্দটি বললেই কিন্তু বিপদ।
● আজারবাইজান: পূর্ব ইউরোপের দেশ আজারবাইজানে ‘সু-সু’ শব্দের অর্থ ‘জল জল’। সেখানে ‘সু’ শব্দের অর্থ হল ‘জল’। তাই সেখানে গিয়ে ‘সু-সু’ বললেই কেউ আপনাকে এক গ্লাস জলও দিয়ে যেতে পারে
● বসনিয়া: বসনিয়া হল ইউরোপের আরেকটি দেশ, যেখানে ‘সু সু’ শব্দের হল ‘করছে’। অর্থাৎ সেখানে গিয়ে কোনো কাজ কাজ করতে হলে ‘সু-সু’ শব্দটি বলতে হবে।
● ফ্রান্স: ফ্রান্সে র ফ্রেঞ্চ ভাষায় ‘সু-সু’ শব্দের অর্থ হল ‘আপনি জানেন’। অর্থাৎ আপনি যদি কাউকে কোনো বিষয় জানার বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তাহলে সেখানে আপনাকে এই শব্দটি বলতেই হবে।
● কর্সিকান: এটি হল ইউরোপের আরেকটি ভাষা। ফ্রান্স ও ইতালিতে এই ভাষা ব্যবহার হয়। কর্সিকায় ‘সু-সু’ শব্দের হল অর্থ ‘উপরে’। অর্থাৎ সেখানে গিয়ে কাউকে উপরের কিছু বোঝাতে এই শব্দটি বলতে হবে আপনাকে।