Papaya Farming: বাড়িতে টবেই এই পদ্ধতিতে চাষ করুন পেঁপে, ফলন হবে বাম্পার
কংক্রিটের জঙ্গলে বাড়িতেই যদি একটু ছোট্ট ছাদ বাগান করতে চান, তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে পেঁপে চাষ। পেঁপে গাছ করার জন্য খুব বেশি যত্ন নিতে হয় না। পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময় হল আশ্বিন বা ফাল্গুন – চৈত্র মাস। একবার এই সময় পেঁপে চাষ করতে পারলে আপনি সারাবছর পেঁপে পাবেন। ছোট সংসার এর জন্য পেঁপের চাহিদা মেটাতে বাড়ির আশেপাশে ছোট জায়গা দেখে কিংবা ছাদের উপরে বড় ড্রামে চাষ করতে পারেন পেঁপে।পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ই রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে পেঁপে। তাছাড়া পেঁপে সিদ্ধ খেলে লিভার ভালো থাকে। কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যার জন্য ত্বক ও চুল ভালো রাখে এই পেঁপে। অনেক সময় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়, তাই এবারে বাজারের থলি হাতে আর বাজারে গিয়ে পেঁপে না কিনে বাড়িতে চাষ করুন এই সবজিটি।
পেঁপে চাষের জন্য সাধারণত প্রয়োজন দোআঁশ মাটি। এই দোআঁশ মাটির সঙ্গে সমপরিমাণ গোবর সার মিশিয়ে মাটি বেশ ঝুরঝুরে করে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মাটির মধ্যে যেন জল না জমে থাকে। অন্তত ১৫ দিন মাটি তৈরি করতে দিতে হবে। মাঝেমধ্যেই খোল পচা সার দিন।
কাছে পিঠে কোন নার্সারি থেকে চারা কিনে আনতে পারেন। চারা কিনে এনে অন্তত এক হাত অন্তর অন্তর চারা মাটিতে বসিয়ে দিন। যেখানে চারা বসাবেন ওপরে খানিকটা ঢাকা দিয়ে রাখুন খুব বেশি কড়া রোদ চারার জন্য ভালো না।
গাছ যাতে মাটিতে ঝুঁকে না পড়ে তার জন্য খুঁটির ব্যবহার করতে পারেন। চারা রোপণের প্রায় তিন মাসের মধ্যেই ফুল এসে যাবে। তারপরে দু তিন মাস পরে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যাবে। গাছ বড় হয়ে গেলে, গাছের চারপাশে মাঝেমধ্যেই গোবর সার কিংবা সরিষার খোল পচা সার দিতে পারেন।
অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, যেন কোনভাবেই না পোকা না ধরে। তাই 15 দিন অন্তর অন্তর নিম তেল স্প্রে করতে পারেন। এছাড়া যখন মাটি তৈরি করবেন তখন নিম খোল দিয়ে দিতে পারেন।
মাটির ছেড়ে যদি টবে চাষ করতে চান তাহলে টবের আকার কিন্তু একটু বড় করতে হবে। টব তৈরি করার জন্য টবে যেন ফুটো অবশ্যই থাকে।