BollywoodHoop Plus

Milind Soman: ২৬ বছর পরেও একই সুঠাম দেহ, র‍্যাম্পে আগুন ধরালেন ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’

৫৫ ইজ নট আ এজ, তাইনা! অবশ্যই পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬০ বা ৬৫ তে এসেও যৌবন যেন ফুরোয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রেও ৫৫ বা ৬০ একই রকম তরতাজা সুন্দর হতে পারে যদি সঠিক ডায়েট ও প্রতিদিনের শরীরচর্চা এক্কেবারে ঠিকঠাক থাকে। যৌবন মানেই শুধু কাম চরিতার্থ করা নয়, যৌবন মানে মুখে হাসি, ত্বকের উজ্জ্বলতা, চোখের তীক্ষ্ণ চাহনি, শান্ত মেজাজ, নতুন কিছু করার উদ্দীপনা ও অবশেষে গ্ল্যামার।

শুরুতেই বছর ৫৫ নিয়ে কথা বলা হয়েছে। এই বয়সটার মধ্যে দিয়ে এখন যাচ্ছেন বলিউডের বিখ্যাত মডেল তথা অভিনেতা মিলিন্দ সোমান। যাকে ঘিরে একটা সময় মডেল মহল ও মহিলা মহলে উত্তেজনার শেষ ছিলনা। এখনও একই ট্রেন্ড ধরে রেখেছেন তিনি, সে যতই তার বয়স ৫৫ হোক বা ৬০. দিন দিন যেন তার পুরুষত্ব ও গ্ল্যামার বেড়েই চলেছে। ভাবছেন খান কী? মাখেন কী?

বলা বাহুল্য, ৯০-এর দশক থেকে তিনি ক্রাশ হয়ে উঠেছেন অনেকের। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ মিউজিক ভিডিওর পর বিশেষ করে মহিলা মহলে তার অগুনতি অনুরাগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেই গানের রেশ ধরেই ২৬ বছর পর সম্প্রতি এই মিলিন্দ একটি অনুষ্ঠানে আসেন মডেল হয়ে। তিনি ওই শোয়ের বিচারক হলেও একেবারে সাদা সিল্কের ধুতি পরে অভিনব সেক্সি কায়দায় হাঁটেন। তার চোখের চাহনিতে বাকি বিচারকরা বোল্ড আউট। এই বয়সেও এত উত্তেজনা? খান কী মাখেন কী?

এই মধ্যবয়সী মডেল তথা অভিনেতার কেমন মেয়ে পছন্দ জানেন? নাহ, যদিও তিনি বিবাহিত। হাঁটুর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে তিনি বিয়ে করেছেন এই মধ্যবয়সে এসে, এমনকি তাকে নিয়েও সকাল বিকেল নানান শরীর চর্চার মধ্যে দিয়ে থাকেন মিলিন্দ। সম্প্রতি, ‘সুপার মডেল অফ দ্য ইয়ার’-শোতে এসে মিলিন্দ এমন ছক্কা হাকান যে অন্য বিচারক মালাইকা জিজ্ঞেস করেই বসেন যে কেমন নারী তার পছন্দ? অর্থাৎ একটি মেয়ের কোন গুণ তাকে আকর্ষিত করে? উত্তরে মিলিন্দ সাফ জানান – “লাউড ও সাইকো মহিলারা সহজেই আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।”

ভাবছেন, ঘরের বর্বর যদি এরকম চাইতো তবে লক্ষ্মী বা সরস্বতী থেকে কালী হতে কতক্ষন। আসলে পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের লাউড আওয়াজ, বা জোরে হাসি, চিৎকার, সাইকো এসব পছন্দ করে না। তাদের কাছে মেয়ে মানেই শান্ত শিষ্ট, কিন্তু ল্যাজ বিশিষ্ট হওয়া যাবে না। যাইহোক, ফিরি মিলিন্দ প্রসঙ্গে। তিনি কি খেয়ে এমন সুন্দর কাঠামো ধরে রেখেছেন তাই ভাবছেন তো? এই মানুষটি প্রতিদিন নিয়ম করে যেমন শরীরচর্চা করেন তেমন খাওয়া দাওয়া করেন। না খেয়ে কোনো শরীর চর্চা নয়। এই যেমন সকালে তার টেবিলে থাকে দুধ, ফল, ছাতু। দুপুরে থাকে ঘরোয়া ডাল ভাত সবজি, বা খিচুড়ি বা চাপাটি, সঙ্গে কখনো ডিম বা মটন বা এক পিস চিকেন। তিনি চিনি একেবারেই খান না, তবে গুড় খান। কখনো কখনো ব্ল্যাক টি নেন বেভারেজ হিসেবে। রাতে খুবই পরিমিত খাবার খান এবং সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে সেই ডিনার শেষ করেন। একেবারে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা গরম জলে হলুদ ও গুড় মিশিয়ে খেয়ে নেন।

Related Articles